দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার। স্বাগত বক্তব্যে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সময়ে ব্যাংকিং সেক্টরে নানাবিধ চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রমান্বয়ে সেগুলো থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার লক্ষ্যে সচেষ্ট থাকতে। তিনি ব্যাংকের সম্ভাবনাময় সুযোগগুলো ও উল্লেখযোগ্য দিকগুলোর একটি চিত্র তুলে ধরেন।
চেয়ারম্যান আরও জানান যে, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫,৪৬৮.৯০ কোটি টাকা যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ৩২,৪৭৮.০৩ কোটি টাকা, যার প্রবৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়ায় ২,৯৯০.৮৭ কোটি টাকা অর্থাৎ ৯.২১%। ২০১৯ সালে ব্যাংক কর্তৃক প্রদানকৃত ঋণের পরিমাণ ২৪,৬৯৪.৩৭ কোটি টাকা যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ২৩,১৩৯.১৫ কোটি টাকা, যার প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ১,৫৫৫.২২ কোটি টাকা অর্থাৎ ৬.৭২%। ২০১৯ সালে ব্যাংকের আমানত ৪,১৫৩.৩৫ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪,৬৭০.৩৭ কোটি টাকা যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ২০,৫১৭.০২ টাকা, যার প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ২০.২৪%।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মাসরুর আরেফিন ব্যাংকের কর্মকাণ্ডের সার্বিক চিত্র শেয়ারহোল্ডারদের কাছে তুলে ধরেন এবং ব্যাংকের প্রতি তাদের দীর্ঘদিনের আস্থার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। একই সঙ্গে তিনি সার্বক্ষণিক সহায়তা ও দিকনির্দেশনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ সকল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এবং ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় পরিচালক পরিষদ কর্তৃক সুপারিশকৃত ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড অনুমোদনের জন্য উত্থাপিত হলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ও অনুমোদিত হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ, পরিচালকবৃন্দ তাবাস্সুম কায়সার, হোসেন মেহমুদ, রফিকুল ইসলাম খান, সৈয়দা শায়রীন আজিজ, সাভেরা এইচ মাহমুদ, স্বতন্ত্র পরিচালক ফারুক সোবহান, ড. সেলিম মাহমুদসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ। বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সিটি ব্যাংক ২০১৯ সালে ট্যাক্স পরবর্তী নিট মুনাফা অর্জন করে ২৪৭.১৬ কোটি টাকা যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ২০১.৭৯ কোটি টাকা যার প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ৪৫.৩৭ কোটি টাকা অর্থাৎ ২২.৪৮%। ২০১৯ সালে শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২.৪৩ টাকা যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ১.৯৯ টাকা।