২০৪১ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রফতানি হবে

বিবিধ, অর্থনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪ ডটকম | 2023-08-27 15:44:54

সংসদ থেকে: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আমাদের অর্থনীতি চমৎকার গতিতে এগোচ্ছে। একদিন আমরাও বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করতে পারব। বাণিজ্য ঘাটতি একদিন থাকবে না। ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের রফতানি ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সামশুল আলম চৌধুরীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

রফতানির তুলনায় আমদানি তিনগুণ বেশি এমন দাবি নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, কথাটি সত্য নয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের আমদানির পরিমাণ ছিল ৫৮ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রফতানির পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উক্ত অর্থবছরে আমদানিতে রফতানির অবদান ছিল ৬৯ দশমিক ২৫ ভাগ।

তিনি বলেন, চীন, ভারত ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের বড় বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমরা প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার রফতানি করি, কিন্তু ওই দেশটি আমাদের দেশে এক বিলিয়ন ডলারও রফতানি করতে পারে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমরা প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার রফতানি করি, সেক্ষেত্রে তারা আমাদের দেশে এক বিলিয়ন ডলারও রফতানি করতে পারে না। সে কারণে বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেই যে খারাপ এটা বলা যাবে না। পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ার কারণে চীন ও ভারত থেকে বেশি পণ্য আমদানি হয়। কিন্তু এখন চীনে তৈরি পোশাকসহ অনেক কিছু রফতানি করা হয়।

সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের পণ্য বিক্রির উদ্যোগ হিসেবে বর্ডার হাট বসানো হয়। সরকার আরও কয়েকটি জায়গায় বর্ডার হাট বসানোর পরিকল্পনা করছে। আর বর্ডার হাট বসানো একটি ভালো সিদ্ধান্ত ছিল। এরইমধ্যে যেসব হাট বসে সেগুলোতে দুই দেশের ব্যাপক ক্রেতা-বিক্রেতা উপস্থিত হন। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে আসবেন। ওই সফরেই বর্ডার হাটের বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।

ভোক্তার সক্ষমতা বাড়ার কারণে ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, খাদ্যশস্য আমদানি ও সরকারের অগ্রাধিকারভুক্ত মেগাপ্রকল্পের কারণে দেশে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। সরকারি দলের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। গত বছর বন্যায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ঘাটতিপূরণে বিপুল পরিমাণে খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়েছে। সরকারের বড় বড় কয়েকটি প্রকল্প, বিশেষ করে পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প ও পায়রা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য যন্ত্রপাতি ও প্লান্ট আমদানির কারণে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ সালে ৮৬ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ডলারের ভেষজ দ্রব্য রফতানি করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর