ক্রেতাদের সাশ্রয়ী মূল্যে আলু সরবরাহের উদ্দেশ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ট্রাক সেলের মাধ্যমে আলু বিক্রয় শুরু করবে। মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে কেজি প্রতি ২৫ টাকা, কোন অবস্থাতেই অধিক লাভ করার সুযোগ দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রীর রোববার (১৮ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন, আলুর পাইকারী বিক্রেতা, কৃষি বিপণণ অধিদফতর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদতরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে বাজারে আলু বিক্রয় নিশ্চিত করা হবে। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ শুরু করেছে। দেশে প্রয়োজনীয় আলু মজুদ রয়েছে। আলু সংকটের কোন সম্ভাবনা নেই। প্রচুর আলু চাষ হয়েছে। বন্যা ও বৃষ্টির কারণে সবজির চাষ কিছুটা ক্ষতি হবার কারনে আলুর চাহিদা বেড়েছে। তবে সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি আলুর দাম হবার কোন কারণ নেই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ইতোমধ্যে কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সঞ্চালনায় সভায় অংশ নেন কৃষি বিপণণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) মো. হাফিজুর রহমান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর চেয়ারম্যান ব্রি.জে মো. আরিফুল হাসান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. মোস্তাক হোসেন, ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শাহ মো. আবু রায়হান আল-বেরুনি, র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই’র প্রতিনিধি, কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশন এবং পাইকারী আলু ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিগণ।