ই-ফাইলিং নিয়ে বিপাকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের চার দপ্তর!

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 11:50:33

চলতি মাসের (সেপ্টেম্বর) মধ্যে চার দপ্তরের সব আঞ্চলিক ও জেলা কার্যালয়ে ই-ফাইলিং চালুর নির্দেশনা দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। দপ্তরগুলো হলো- শ্রম অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, শ্রম কল্যাণ ফাউন্ডেশন এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিল। কিন্তু এতো কম সময়ের মধ্যে ই-ফাইলিং চালু করা সম্ভব কিনা সেটা জানেন না কর্মকর্তারা। ফলে মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে ওই চার দপ্তর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রম মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘গত ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার কার্যবিবরণীতে চারটি দপ্তরের জেলা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ই-ফাইলিং চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে শ্রম সচিব আফরোজা খান স্বাক্ষরিত কার্যবিবরণীটি দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়েছে। এমনকি ই-ফাইলিংয়ের ক্লাস্টারভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিতে দপ্তরগুলোকে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘দপ্তরগুলো থেকে জানানো হয়েছে- ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু করতে আঞ্চলিক ও জেলা কার্যালয়গুলোতে প্রশিক্ষিত লোকবল সংকট আছে। ফলে চলতি মাসের মধ্যে শতাভাগ ই-ফাইলিং চালু করা সম্ভব না। তাছাড়া কার্যালয়গুলোতে প্রযুক্তিগত প্রয়োজনীয় সুবিধাও নেই।’

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (যুগ্মসচিব) ড. মো. আনোয়ার উল্লাহ বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘আমাদের প্রধান কার্যালয়ে ইতোমধ্যেই শতভাগ ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তবে জেলা ও আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে এখনই চূড়ান্তভাবে ই-ফাইলিং কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব না। কারণ ই-ফাইলিংয়ের জন্য প্রশিক্ষিত লোকবলের অভাব রয়েছে। আমরা কর্মকর্তাদের ই-ফাইলিংয়ের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছি। কিন্তু চলতি মাসের মধ্যেই চূড়ান্তভাবে ই-ফাইলিংয়ের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে না। তবে পাইলট প্রকল্প শুরু করা যেতে পারে।’

একই কথা জানান শ্রম অধিদপ্তর, শ্রম কল্যাণ ফাউন্ডেশন ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, কার্যবিবরণীতে শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো সব চিঠি ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ই-ফাইলে আসা ডাক ই-ফাইলেই নিষ্পত্তি করতে হবে এবং হার্ডফাইলে আসা ডাক ফ্রন্টডেস্ক থেকে প্রথমে ই-ফাইলে রূপান্তর করতে হবে। পরে ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে সেটা নিষ্পত্তি করতে হবে। যেসব শাখায় ই-ফাইলিং কার্যক্রম ৭৫ শতাংশের নীচে রয়েছে সে সকল শাখাকে দ্রুত ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে কাজ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া শ্রম আপিল ট্রাইবুন্যালকে মন্ত্রণালয়ের আইসিটি শাখার সহায়তায় ই-ফাইলিং চালুর কার্যক্রম গ্রহণ করারও নির্দেশনা দিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর