চট্টগ্রামে ১৭৫ কোটি টাকার ‘টিনা’

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 21:48:22


১৫ বছর পরে আবারো বড় জাহাজ


অনেকটা নিরবেই ১৭৫ কোটি দামের বিশাল এক অয়েল ট্যাংকার আমদানি করা হয়েছে চট্টগ্রামের বাড়বকুন্ড উপকূলের শিপইয়ার্ডে। জার্মানি থেকে এ জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের উপকূলে এসএইচ এন্টারপ্রাইজের ইয়ার্ডে বিচিং করা হয়েছে গত মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) । প্রায় তিন লাখ ৯ হাজার মেট্রিন টন ক্রুড অয়েল ধারণক্ষমতার এ জাহাজটি তৈরি করা হয়েছে ২০ বছর আগে ১৯৯৯ সালে।

জাহাজটি কেটে বিভিন্ন ধরনের লৌহজাত সামগ্রী পাওয়া যাবে ৪৬ হাজার মেট্রিক টন। বিশাল এ জাহাজ আমদানি থেকে সরকার শুল্ক আয়করসহ রাজস্ব পেয়েছে ১২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। জাহাজটির আমদানি খরচ পড়েছে ১৬৩ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে দাম পড়েছে ১৭৫ কোটি টাকা।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী কামাল উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘প্রায় ১৫ বছর আগে বাংলাদেশের জাহাজভাঙা শিল্পের সবচেয়ে বড় জাহাজটি আমদানি করা হয়েছিল। সেটির ওজন ছিল ৭২ হাজার মেট্রিক টন।’ জাহাজ বিচিংয়ের সঙ্গে অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন আনাম জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন জর্জিয়স নামে সবচেয়ে বড় জাহাজটি এনেছিল কবির স্টিল। এরপর হাবিব গ্রুপের ইয়াসিন আলী, দেশের শীর্ষ ধনী শওকত আলী চৌধুরী ও দেশের অন্যতম শিল্পপতি সুফি মিজানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ৬৫ হাজার মেট্রিন টন ওজনের চারটি জাহাজ আমদানি করেছিল। তবে বড় জাহাজ কেনার পথিকৃৎ হলো পিএইচপি শিপ রিসাইক্লিন ইয়ার্ড। দীর্ঘ কয়েক বছর পর আবার ‘টিনা’ আনা হলো, যা এ যাবত কালের সবচেয়ে বড় এবং দামি জাহাজ।

পুরনো জাহাজ বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত সোলার শিপিং লাইন্সয়ের স্বত্ত্বাধিকারী তওফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে অয়েল ট্যাংকার পরিবহনের ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। সে কারণে মালিকরা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তেল পরিবাহি জাহাজগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে। সাধারণত ২৫-৩০ বছরের আগে কোনো জাহাজ বিক্রি হয় না।’

জাহাজটি ১৯ হাজার ৪০১ বর্গমিটারের। এর দৈর্ঘ্য ৩৩৪ দশমিক ৫ মিটার। প্রস্থ ৫৮ মিটার। উচ্চতা প্রায় ৩৫ মিটার।

একই উপকূলে ১৫০ কোটি টাকা দিয়ে এমটি হেগায়া নামে আরেকটি জাহাজ ভিড়ানো হয়েছে গত মাসে। এটি এনেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী শওকত আলী চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বাজারের পুরনো জাহাজ বেচাকেনার অন্যতম ক্রেতা পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক জহিরুল ইসলাম রিংকু বলেন, ‘বিশ্ব বাজারে যে ৫০টি বড় জাহাজ বিক্রি হয়েছে। এবার তার মধ্যে বাংলাদেশই কিনেছে ৩৫টি। বাকি ১৫টি কিনেছে ভারত ও পাকিস্তান।’

বঙ্গোপসাগরে উপকূলে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড ও বাড়বকুন্ডের ১৫০টি ইয়ার্ডের মধ্যে বর্তমানে চালু রয়েছে ৬৫টি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর