নগর স্বাস্থ্যসেবায় এডিবির অতিরিক্ত ১১০ মিলিয়ন ডলার ঋণ

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 09:04:50

 

এশিয়ান ডেভলাপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর পরিচালনা পর্ষদ নগর স্বাস্থ্যসেবায় অতিরিক্ত ১১০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ বরাদ্দ করেছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে পিপিপি’র (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) আওতায়।

এডিবির স্যোশাল সেক্টরের বিশেষজ্ঞ ব্রায়ান চিন এই বিষয়ে বলেছেন, নগর স্বাস্থ্য সেবার বিষয়ে সরকারের প্রকল্পটিতে সহায়তা করছে এডিবি। এই প্রকল্পটির কাজ ২০১২ সালে নেওয়া হয়েছে।  শহরের সুবিধা বঞ্চিত মানুষরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন। বিশেষ করে দরিদ্র্য মানুষদের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা পালন করছে নগর স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পটি। অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়ার মাধ্যমে এই প্রকেল্পর কাজ করার শক্তি আরো বাড়বে।

নগর ও স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে এই প্রকল্পটিকে সাউথ এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রকল্প ধরা হয়।  ২০১২ সালে এই প্রকল্পে এডিবি ৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রদান করে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ক্ষেত্রে প্রকল্পটিকে মডেল হিসেবে অনুসরণ করা হয়।

এর আগে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এডিবি ৪০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেয় চারটি শহরে নগর স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের জন্য। পরবর্তীতে ২০০৫ সাল থেকে ২০১২ সালে আরো ছয়টি শহর ও পৌরসভায় স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের জন্য ৩০ মিলিয়ন ডলার ঋণ ও ১০ মিলিয়ন ডলারের অনুদান বরাদ্দ করা হয়। এছাড়া আরো ৩০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ হয় কো-ফাইনান্সিং-এর মাধ্যমে।

২০১২ সালে নগর স্বাস্থ্যসেবায় নেওয়া প্রকল্পটি ১০টি শহর ও চারটি পৌরসভার মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ মানুষকে সেবা দিয়েছে। ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী এই প্রকল্পের আওতায় ২৩ মিলিয়ন মানুষ সেবা গ্রহণ করেছে। সেবা গ্রহীতাদের ৭৪ শতাংশই নারী। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২২৪টি স্যাটেলাইট ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে।

প্রকল্পটির পর্যালোচনা শেষে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন শহরের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবার চাহিদায় পূরণের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে।

বরাদ্দকৃত অতিরিক্ত অর্থের মাধ্যমে প্রকল্পটির স্বাস্থ্যসেবা ও পিপিপির প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনায় আগামী পাঁচ বছরের জন্য যে বর্ধিত ব্যয় হবে তার সংকুলান করা হবে। এই অতিরিক্ত বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে আটটি প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, ২৪টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। তাছাড়া এর আওতায় আরো একটি শহর ও ১০টি পৌরসভাকে অর্ন্তভুক্ত করা হবে।

এডিবির অতিরিক্ত অর্থায়নের একটি অংশ ব্যয় হবে জলবায়ূ পরবির্তনের ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তার ব্যবস্থাপনার জন্য। এক্ষেত্রে সোলার প্যানেল, বৃষ্টির পানির ব্যবহারের ব্যবস্থাপনা ও বন্যার পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত হবে সেই অর্থ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর