‘২০৩০ সালের মধ্যে রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে’

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-24 03:48:05

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংবাদ বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগেই ঠিক করেছিলাম ৩০ ডিসেম্বরের আগে রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাব, আমরা তার আগেই তা নিয়ে যেতে পেরেছি। এটিই জাতির জন্য পাওয়া। আমি মনে করি আমাদের কমিটমেন্ট আছে ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভকে ৫০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাব। হিসাব করেই বলছি এবং প্রত্যাশা করি সে লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করতে পারব।’

মুস্তফা কামাল বলেন, “রিজার্ভের এর মূল ভিত্তি হচ্ছে রেমিন্টেন্স, এটি ব্যাংকের মাধ্যমে আসে। যে সময় ব্যাংকগুলোর চাহিদার চেয়ে বেশি রেমিন্টেন্স আসে তখন তারা বাজারে বিক্রি করে। বাজারে বিক্রি করলে কিনে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এ কারণেই রিজার্ভ বাড়ে- এটি মূল কারণ।”

গত জুলাই থেকে নভেম্বর ৫ মাসে ১১ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভে যোগ হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “বছরের টার্গেটের ৬০ শতাংশ ৫ মাসে চলে এসেছে। এই ফ্লো অব্যাহত রাখতে পারলে রিজার্ভ ফান্ড বেড়ে যাবে। পাশাপাশি যে সমস্ত মেগাপ্রকল্প আছে সেগুলোর পেমেন্টও করতে হয়।

তিনি বলেন, ‘জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ১০০ মিলিয়ন ডলারের মতো পেমেন্ট করেছি, সেটাও ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ থেকে যাচ্ছে। সব কিছু যাওয়ার পরও ৪২ বিলিয়ন ডলার নেট হাতে আছে।’

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা যদি বিশ্বাস করে সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করতে পারি এবং সেগুলো ডলারে রিসিভ করতে পারি তাহলে ফান্ড ফ্লো ইনটেক থাকল এবং আমাদের ইনকামটাও অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়।

বর্তমানের রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসেবে প্রায় সাড়ে দশ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

এ সম্পর্কিত আরও খবর