বাংলাদেশের শিল্পখাতে পরিববেশ বান্ধব, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থা প্রবর্তনে বাংলাদেশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পে বিনিয়াগে আগ্রহী প্রাইভেট ফিন্যান্সিং অ্যাডভাইজরি নেটওয়ার্ক (পিএফএএন)।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) ‘পরিবেশ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এ কথা জানানো হয়। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং পিএফএএন যৌথভাবে এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
ওয়েবিনারের স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এন কে এ মবিন বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দেশের বেসরকারিখাদের অবদান অনেক। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবর্তীত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেসকারিরখাতকে এখনই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।’
এ সময় তিনি শিল্পখাতে জ্বালানির জন্য ফসিল ফুয়েলের উপর নির্ভরতা কমিয়ে অন্য উৎস খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
পিএফএএন-এর এশিয়া অঞ্চলের প্রধান ড. পিটার ডু পন্ট বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কার্বন গ্যাসের স্বল্প নিঃসরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্চ মোকাবিলায় আগ্রহী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কর্মকান্ডে আর্থিক সহায়তা দিতে পিএফএএন কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত ৬৭৫টি প্রকল্পে ১.৮ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করেছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বের পর্যন্ত এশিয়া অঞ্চলে আরও ৯৪টি প্রকল্পে অর্থায়নের কার্যক্রম চলছে।’
পিএফএএন-এর থাইল্যান্ড ভিত্তিক উপদেষ্টা জেমোন টোন হোনসিরি বলেন, বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধি, পর্যটন, স্বাস্থ্য এবং কৃষি খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ থাই বিনিয়োগ তেমন একটা নেই, তবে পরিবেশ বান্ধব প্রকল্পসমূহে আরও থাই প্রতিষ্ঠান যাতে বিনিয়োগে আকর্ষিত হয়, সেজন্য পিএফএএন-থাইল্যান্ড কাজ করে যাবে।’
পিএফএএন-এর বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি শ্যামল বর্মন বলেন, ‘বাংলাদেশের চিংড়ি রপ্তানি খাতে বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশে সৌর বিদ্যুৎ ভিত্তিক প্রকল্পে বেশ সম্ভাবনা আছে। যেগুলোতে দীর্ঘময়োদী অর্থায়ন প্রয়োজন এবং পিএফএএন এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী।’
ওয়েবিনারে আরও উপস্থত ছিলেন- এসিআই এগ্রো লিংক লিমিটেড-এর হেড অব বিজনেস মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, ওমেগা রিনিউএ্যাবল এনার্জী লিমিটেড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহিম এবং পিএফএএন-এর ব্যবস্থাপনক ন্যান্সি গুয়েন।