মন্ত্রণালয়ের মৃত কর্মকর্তাদের গাড়ি ঋণ মওকুফ হচ্ছে

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 17:10:03

গাড়ি কিনতে ঋণ নেওয়ার পর মন্ত্রণালয়ে কর্মরত অবস্থায় যেসব কর্মকর্তা মারা গেছেন তাদের ঋণ ও সুদ মওকুফ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে গেজেটের একটি খসড়াও ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। যদিও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামত না নিয়েই গেজেটের ওই খসড়া কপি তৈরি করেছে।

খসড়া গেজেটে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়ে কর্মরত অবস্থায় যেসব কর্মকর্তা ঋণ পরিশোধ না করেই মারা গেছেন, তাদের পক্ষ থেকে ঋণ ও সুদ মওকুফের জন্য আবেদন করতে হবে। অর্থ বিভাগ কর্তৃক গঠিত কমিটি বরাবর এ আবেদন করতে হবে। পরে ওই কমিটি তাদের ঋণ ও সুদ মওকুফের বিষয়ে সিদ্বান্ত নেবে।

২০১৭ সালে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা এককালীন সুদমুক্ত ৩০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে আরেকটি গেজেটে উল্লেখ করা হয়, সরকারের উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব, সচিব ও সিনিয়র সচিব ছাড়াও বিসিএস (ইকনোমিক) ক্যাডারের যুগ্ম প্রধান বা তার উপরের কর্মকর্তা এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম প্রধান (ড্রাফটিং) থেকে তার উপরের কর্মকর্তারা গাড়ি কেনার সুবিধা পাবেন। তবে এসব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা এ ঋণ সুবিধা পাবেন না।

ওই গেজেটে আরো উল্লেখ করা হয়, সরকারের অনুমতি ছাড়া ঋণের টাকায় কেনা গাড়ি কেউ বিক্রি করতে পারবেন না। এছাড়া ঠিকমতো কিস্তি পরিশোধ না করলে আসলের সাথে ১৫ শতাংশ হারে সুদ যোগ হবে। কর্মকর্তারা সমপরিমাণ ১২০টি কিস্তিতে সুদ বিহীন এ ঋণ পরিশোধ করবেন।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক গণশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক প্রয়াত রণজিৎ চন্দ্রের গাড়ি কিনতে নেওয়া ঋণ ও সুদ মওকুফ করতে কমিটিতে প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। তার নেওয়া ঋণের সুদ-আসল দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩০ টাকা।

অন্যদিকে, সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ ও মোটরসাইকেল কিনতে মাত্র এক লাখ ২০ হাজার টাকা ঋণ দেয়া হয়। কিন্তু ঋণ নেওয়ার পর কর্মচারীরা মারা গেলেও তা মওকুফ করা হয় না। উল্টো ১৫ শতাংশ হারে সুদ গুনতে হয়, যা ২০ বছরে আসলের সমান হয়ে যায়। এছাড়াও গত বছর কর্মচারীদের পেনশনের গ্রাচুইটি হার লাখে ২৩০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তা নাকচ করে দেন। যদিও সরকারি ও আধা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ২৪ লাখ। যার মধ্যে ৭০ শতাংশই কর্মচারী।

এ সম্পর্কিত আরও খবর