বিডিডিএল'র ঋণের দায়ে ফ্ল্যাট বুঝে পাচ্ছে না মালিকরা

, অর্থনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-27 02:08:51

আবাসন প্রতিষ্ঠান বিল্ডিং ডেভেলপমেন্ট এন্ড ডিজাইন লিমিটেডের (বিডিডিএল) থেকে ফ্ল্যাট কেনার ১০ বছর পার হলেও মালিকানা বুঝে পাচ্ছেনা ক্রেতারা।

ভুক্তভোগীরা জানান, বিডিডিএলের ভবনটির বিরুদ্ধে ঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠান ফাস ফাইন্যান্সের মামলা থাকায় এই জটিলতা দেখা দিয়েছে। তবে মামলা চলাকালীন সময়ে ভবনটির ৩১টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ৬টি ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

প্রতারণার শিকার ফ্ল্যাট মালিকরা কোম্পানির বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২৮টি ফৌজদারি এবং একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেছে।

শনিবার (৩ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন পূর্ব রামপুরা বিডিডিএল আফতাব টাওয়ারের ক্ষতিগ্রস্ত ফ্ল্যাট মালিকবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্ত ফ্ল্যাট মালিক এসএম সাহাবুদ্দীন। এ সময় ফ্ল্যাট মালিকদের পক্ষে মো. আব্দুল হান্নান, মো. ইউসুফ আলী, বিউটি খানম বক্তব্য রাখেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে ভুক্তভোগীরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে কোম্পানির বিডিডিএলের সাবেক এমডি নিজামুল সাইদ, সাবেক পরিচালক ও বর্তমান এমডি বাতেন খান এবং চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল বিদ্যুৎ'র প্রতারণার বিষয়টি তদন্ত করে ক্ষতিগ্রস্ত ফ্ল্যাট মালিকদের ঋণদানকারী ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের নিকট থেকে এনওসি (অনাপত্তি সনদ) গ্রহণ করে সব ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

সাহাবুদ্দীন বলেন, ঢাকার ৩২৩ পূর্ব রামপুরায় ২০০৬ সালে বিডিডিএল আফতাব টাওয়ার নামের একটি বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করে ফ্ল্যাট বিক্রয়ের কাজ আরম্ভ করেন। এরই প্রেক্ষিতে বিডিডিএল প্রথমে ফ্ল্যাট ক্রেতাদের নিকট হতে বুকিং মানি, ডাউন পেমেন্ট, মাসিক কিস্তির টাকা মানি রিসিটের মাধ্যমে গ্রহণ করে।

ফ্ল্যাটের নির্মান কাজ শেষ করার পর ২০১১ সালে ফ্ল্যাট মালিকদের নিকট থেকে সব অর্থ (রেজিষ্ট্রি ফি সহ) রিসিটের মাধ্যমে বুঝে নিয়ে পর্যায়ক্রমে ফ্ল্যাটের চাবি স্ব স্ব ফ্ল্যাট মালিকদেরকে হস্তান্তর করেন এবং অদ্যবদি ফ্ল্যাট মালিকগন ক্রয়কৃত ফ্ল্যাটে বসবাস করেছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর