করোনার কারণে কৃষকরা ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় চলতি বছর চালের সরবরাহ কমেছে। আর এজন্য বাজারে চালের দাম বেশি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) ভার্চুয়ালি প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গেল বছর অনেক বোরো ধান নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য একটি প্যাকেজ নেওয়া হচ্ছে।’
চাল আমদানির অনুমতির পরও দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ধান, চাল আর গম উৎপাদন প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। খাদ্যশস্যে বাংলাদেশকে স্বাবলম্বী বলা হয়। কিন্তু খাদ্যশস্যে স্বাবলম্বী সে বছরই হওয়া যায়, যে বছর প্রকৃতি স্বাভাবিক থাকে। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে, তাহলেই খাদ্যশস্য নষ্ট হয়। দেশে যে পরিমাণ জমি, দক্ষতা ও সক্ষমতা আছে, তা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে সেই বছর খাদ্যশস্যে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি খাত এ দেশের লাইফলাইন। সব ধরনের কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। শিক্ষিত যে জনশক্তি কৃষিতে আসতে চায়, তাদের উৎসাহিত করার জন্য সরকার প্রণোদনা দেওয়ার চেষ্টা করবে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে কৃষিখাতে ভালোই বরাদ্দ ছিল। কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিতে আর কৃষিকে প্রযুক্তিবান্ধব করতে আগামী অর্থবছরে কৃষিখাতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে।’
আলোচনায় আরও অংশ নেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির প্রমুখ।