২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেটে কিছু পণ্যের ভ্যাট, আমদানি শুল্ক, আগাম কর অথবা সম্পূরক শুল্কে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
কৃষি যন্ত্রপাতি: ইউডার (নিড়ানি) ও উইনোয়ারের (ঝাড়াইকল) উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া থ্রেসার মেশিন, পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার, অপারেটেড সিডার, কম্বাইন হারভেস্টর, রোটারি টিলার, নিড়ানি ও ঝাড়াইকলের আমদানি পর্যায়ের আগাম কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে দাম কমতে পারে এসব পণ্যের।
মুড়ি: উৎপাদন পর্যায়ে মুড়ির ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাই কমতে পারে প্যাকেটজাত মুড়ির দাম।
তাজা ফল: ব্যবসায়ী পর্যায়ে ফলের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে কমতে পারে ফলের দাম।
মাইক্রোবাস ও হাইব্রিড গাড়ি: সিসিভেদে মাইক্রোবাস আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। এছাড়া হাইব্রিড গাড়ির সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে। তাই জ্বালানি বান্ধব গাড়ির দাম কমতে পারে।
ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ও ইলেকট্রিক ওভেন: উৎপাদন পর্যায়ের ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
এছাড়া ব্লেন্ডার, জুসার, মিক্সার, গ্রাইন্ডার, ইলেক্ট্রিক কেটলি, রাইস কুকার, মাল্টি কুকার, প্রেসার কুকারের দাম কমতে পারে।
প্রস্তাবিত বাজেটে স্পিনিং মিলে ব্যবহৃত পেপার কোনের ওপর বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর প্রযোজ্য সমুদয় ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার উৎপাদনের লক্ষ্যে কতিপয় কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দুই বছর বাড়ানো হয়েছে।
গ্রামাঞ্চলে মানুষের স্যানিটেশন সুবিধা আরও সুলভ করার লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ‘লং প্যান’-এর ওপর থেকে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অটিজম সেবার কার্যক্রমের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
করোনা নিয়ন্ত্রণে কোভিড-১৯ টেস্ট কিট, পিপিই এবং ভ্যাকসিন আমদানি উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।
দাম কমছে নির্মাণ সামগ্রীর। এসব সামগ্রীর মধ্যে ইট, বালি , রড ও সিমেন্ট জাতীয় সামগ্রীর দাম কমেছে।
এছাড়া,করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির মধ্যে দ্বিতীয় বাজেট এটি। ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকার এ বাজেটে করোনা মোকাবিলাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে, প্রাধান্য দেয়া হয়েছে মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা কার্যক্রমকে। আকারের দিক থেকে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট এটি।