প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য ২৭ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রস্তাবিত বাজেট বরাদ্দ ছিল ২৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা।
বিদায়ী অর্থ বছরের বাজেটের তুলনায় প্রস্তাবিত বাজেটের আকার বেড়েছে ১২ শতাংশ। আর বিদ্যুৎ জ্বালানিতে বরাদ্দ বেড়েছে ২.৭১ শতাংশ মাত্র। এই খাতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ওই অর্থ বছরে ২৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯-২০ এর তুলনায় পরের বছর বাজেটের প্রবৃদ্ধি ৮.৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি হলেও বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে ১ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা কম প্রস্তাব করা হয়।
এই খাতের বরাদ্দের ক্ষেত্রে ২০১৯-২০ অর্থ বছর থেকেই সুচক নিম্নগামী। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিলো ২৪ হাজার ৯’শ ২১ কোটি টাকা। পরের বছর বাজেটের (২০১৯-২০) আকার বেড়েছে ১৮ শতাংশ। আনুপাতিক হারে বাড়াতে হলে সাড়ে ২৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়ার কথা ছিল।
সরকারের বড় সাফল্য হচ্ছে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে বিদ্যুতের প্রতিশ্রুতি থাকলেও গত ডিসেম্বরেই ৯৯ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ও পাহাড়ি অঞ্চলে অবশিষ্ট জনগোষ্ঠির জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ চলমান। নিরবিচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎকে এখন চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। উৎপাদন করার সক্ষমতা থাকলেও অনেক সময় সরবরাহ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে লোডশেডিং মুক্ত বিদ্যুৎ দেওয়া যাচ্ছে না। তাই প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চালন ও বিতরণকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ১৪ হাজার ১১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৩৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। ২ হাজার ৯৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ২০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। ৬৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিকল্পনাধীন রয়েছে। সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে বিদ্যুতের সিস্টেম লস ১৪.৩৩ থেকে কমে ৮.৭৩ শতাংশ হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সঞ্চালন লাইন ২৮ হাজার কিলোমিটার ও বিতরণ লাইন ৬ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটারে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।