বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা বিশেষত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে বিবেচনায় রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষা কার্যক্রমে আইসিটি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশের ৫০তম বাজেটে উপস্থাপন করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের আই.সি.টি. বিষয়ে ৮০ হাজার ৮০০ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ হাজার শিক্ষক এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২ লাখ ১০ হাজার শিক্ষককে এবং আই.সি.টি. বিষয়ে ২.৭৫ লক্ষ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় আরও বলেন, উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা দ্বারা ইতিমধ্যে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রনয়ণ করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন-লাইনে এমপিও কার্যক্রম সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ১২৫টি উপজেলায় উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং এন্ড রিসার্স সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নির্ধারিত বেসরকারি কলেজসমূহের উন্নয়ন, আরো ১৬০টি উপজেলায় আইসিটি ট্রেনিং ও রিসার্স সেন্টার স্থাপন এবং সমন্বিত শিক্ষা তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রণয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। সরকারি কলেজসমূহে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণে প্রকল্প ও সারা দেশে ৩২৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যক্রমের বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।
এতে কলেজ পর্যায়ে অতিরিক্ত প্রায় ২ লাখ ও মাধ্যমিক পর্যায়ে অতিরিক্ত ৩ লাখ ২৯ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানান তিনি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খাতের বরাদ্দ তুলে ধরে তিনি বলেন, আগামী ২০২১-২০১২ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খাতে ৩৬ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করছি, যা বর্তমান ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ছিল ৩৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা।