২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার তৃতীয় বাজেট।
এই বাজেটে কিছু পণ্যের শুল্ক-কর হার বাড়ানো হয়েছে। এতে যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে। তার মধ্যে আমদানি পণ্যের সংখ্যাই বেশি।
উল্লেখ্য, বাজেটে শুল্ক-করের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা ঘোষণার পরই কার্যকর হয়।
মোবাইল ফোন: বাজেটে মোবাইল ফোন (সেলুলার ফোন) আমদানিতে আমদানি শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে বিদেশি মোবাইল ফোনের দাম আরও বাড়তে পারে।
আমদানি করা মাংস: মাংস আমদানিতে শুল্কহার বাড়ানো হয়েছে। বসানো হয়েছে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট। আবার ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্যের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বিদেশি মাংসের দাম বাড়বে। দেশীয় খামারিদের সুরক্ষা দিতে কাজটি করেছে সরকার।
মাশরুম: বিদেশি মাশরুমের দাম অনেকটাই বাড়তে পারে। এই মাশরুম আমদানিতে আমদানি শুল্ক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি মাশরুম আমদানিতে ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্য আরোপের কথা বলা হয়েছে।
আমদানি করা গাজর-টমেটো: চাষিদের সুরক্ষা দিতে গাজর, ক্যাপসিকাম, কাঁচামরিচ, টমেটো ও কমলা আমদানিতে ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্য আরোপের কথা বলা হয়েছে। এতে এসব পণ্য আমদানিতে কম দাম দেখিয়ে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া যাবে না। দাম বাড়তে পারে। গাজরের ওপর ভ্যাটও আরোপ করা হয়েছে।
শিল্প ও কারখানায় ব্যবহার করা লবণ: শিল্প লবণের ওপর কর বাড়ানো হয়েছে। এতোদিন শিল্প লবণের নামে ভোজ্য লবণ আমদানি হতো। এখন দুই লবণের কর হারের সমন্বয় করা হয়েছে।
বিদেশি সাবান: সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দাম বাড়তে পারে।
চুইং গাম: এর ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে দাম বাড়বে।
বিদেশি বিস্কুট: বিস্কুট ও সমজাতীয় সুগার কনফেকশনারির ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দাম অনেকটাই বাড়তে পারে।
বিদেশি রড ও সমজাতীয় পণ্য: আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এতে দাম বাড়তে পারে। অবশ্য রডের বাজার মূলত দেশীয় কোম্পানির দখলে।
প্রস্তাবনা বাজেট পেশ করার সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানসহ মন্ত্রী এবং এমপিরা উপস্থিত ছিলেন।