জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশিত পথেই বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে বলে বাজেট প্রস্তাবে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশের ৫০তম বাজেটে উপস্থাপন করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার তৃতীয় বাজেট।
বাজেট বক্তব্যে মুস্তফা কামাল বলেন, জাতীয় বাজেটে সাধারণত আমরা সুসংহতভাবে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন কর্ম পরিকল্পনার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার উন্নয়ন রূপরেখা প্রণয়ন করে থাকি। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এবছরও সকল তথ্য-উপাত্ত পরিপূর্ণভাবে আমাদের সামনে নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে কোভিড-১৯ এর প্রাথমিক অভিঘাত মােকাবেলা করে বাংলাদেশ যখন অন্যান্য দেশের তুলনায় দ্রুত গতিতে অর্থনৈতিক উত্তরণের পথে এগিয়ে চলছিল। তখনই সারাবিশ্বে দ্বিতীয়, কোথাও কোথাও তৃতীয় অভিঘাত শুরু হয় এবং যার প্রভাব সর্বত্রই প্রবল। তাই আমাদের এবারের বাজেটেও দেশ ও জাতির উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাধিকার পাচ্ছে দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষ- প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও তাদের জীবন জীবিকা।
অর্থমন্ত্রী জানান, গত পাঁচ দশকে অনেক দিক থেকে বাংলাদেশ বদলে গেছে। কেবল বদলায়নি বঙ্গবন্ধুর চিরঞ্জীব আদর্শ এবং জাতির জীবনে সর্বক্ষেত্রে তার সজীব উপস্থিতি। তাঁর নির্দেশিত পথেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। এ বছরেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর দুই বরিষ্ঠ প্রবাহের মিলনমেলায় যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। এর হাত ধরেই বিশ্বসভায় বাংলাদেশ স্থান পেয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়। এমনিভাবে ইনশাআল্লাহ অর্জিত হবে আমাদের ২০৩০, ২০৩১, ২০৪১, ২১০০ সালসহ সকল স্বপ্নের বাস্তবায়ন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি জাতির পিতার তুলিতে আঁকা স্বপ্ন সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাবে, এগিয়ে যাবে অনেক দূর-বহুদূর, বহুদূর----নিরন্তর।
উল্লেখ্য, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাজেটের আকার বা মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপি'র ১৭,৫ শতাংশ। পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।