প্রস্তাবিত বাজেটে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার আওতায় আনার জন্য ভাগ ভাগ করে পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণকে প্রতিমাসে ২৫ লাখ করে টিকা দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশের ৫০তম বাজেট উপস্থাপন করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার তৃতীয় বাজেট।
এ সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানসহ মন্ত্রী এবং এমপিরা উপস্থিত ছিলেন।
২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়, কোভিড ১৯ মহামারি হতে জন-জীবনের সুরক্ষার জন্য সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এর আওতায় National Deployment and Vaccination Plan প্রণয়ন করা হয়েছে। ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে Oxford-AstraZeneca’র ৩ কোটি ডােজ Covishield ভ্যাকসিন ক্রয় করা হয়েছে।
এছাড়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার Covax facility হতে দেশের জনসংখ্যার শতকরা ২০ ভাগ, তথা ৩ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষের জন্য ৬ কোটি ৮০ লাখ ডােজ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, ইতোমধ্যে ১.০৬ লক্ষ ডােজ টিকা পাওয়া গেছে। চীন ও রাশিয়ার সরকার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Pfizer Co. ও ফ্রান্স- বেলজিয়ামভিত্তিক Sanofi-GSK এর নিকট হতে ভেকসিন ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। চীন হতে Sinopharm ও রাশিয়া হতে Sputnik-V ভ্যাকসিন ক্রয় ও প্রয়ােজনে বাংলাদেশেই তা উৎপাদনের লক্ষ্যে আলােচনা বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
ইতােমধ্যে Oxford-AstraZeneca’র ৭০ লাখ ডােজ Covishield ভ্যাকসিন দেশে এসে পৌঁছেছে এবং ভারত ও চীন সরকার যথাক্রমে ৩২ লাখ ডােজ ও ৫ লাখ ডােজ এবং Pfizer-এর ১ লাখ ৬২০ ডােজ বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে প্রদান করেছে। বিশ্বব্যাংক হতে কোভিড-ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও লজিস্টিক সাপাের্ট এর জন্য ১৪.৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হচ্ছে। ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক হতে ৯৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়ার লক্ষ্যে ঋণচুক্তি চূড়ান্ত পর্যায় রয়েছে। পাশাপাশি, ইউরােপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং এআইআইবি হতে ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য সহায়তা পাওয়া যেতে পারে।
বাজেটে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ঘােষণা দিয়েছেন, সরকার দেশের সকল নাগরিককে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদান নিশ্চিত করবে। এর জন্য প্রয়ােজনীয় সংখ্যক ডােজ ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য যত টাকাই লাগুক না কেন, সরকার তা প্রদান করবে। সে লক্ষ্যে এ বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হয়েছে।