পাট ও বস্ত্রকল শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধে আরো ১০ কোটি টাকা

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 04:25:07

রাষ্ট্রায়ত্ত পাট ও বস্ত্র কল শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ করতে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনকে ১০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে ওই ঋণ ছাড়ও করা হয়েছে। গত সপ্তাহের খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও বস্ত্র কলের শ্রমিকদের নিজ নিজ মিল থেকে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনকে ৩ শতাংশ সুদে এই ১০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে, যা ২০ বছরে পরিশোধযোগ্য। গত তিন মাস আগে একই উদ্দেশ্যে ১০ কোটি এবং মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে সরকার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। সেসময় শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছিল। ফলে গত ৯ মাসে এ নিয়ে সরকার শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি বাবদ মোট ১২০ কোটা টাকা ছাড় করলো।

জানা গেছে, সরকারি কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য কোনো বরাদ্দ রাখে না অর্থ মন্ত্রণালয়। ফলে বাজেটের অপ্রত্যাশিত ব্যবস্থাপনা খাত থেকে এসব অর্থ দেওয়া হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেটে অপ্রত্যাশিত ব্যবস্থাপনা খাতে ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘অভিযোগ আছে সরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক না থাকলেও ভুতুরে শ্রমিকদের এসব অর্থ  দেওয়া হয়। কিন্তু এবার  প্রকৃত শ্রমিকরা যাতে বকেয়া বেতন পান সে বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়কে দিক নির্দেশনা দিয়েছি। এ জন্য আমার বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া শ্রমিকদের নামের তালিকাও দিয়ে দিয়েছি।’

অন্যদিকে অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের এক কর্মকতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।’

প্রসঙ্গত, গত মে মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা বকেয়া মজুরি প্রদানসহ ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নে রাজপথ-রেলপথ অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। পরে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক শ্রমিকদের দাবির পূরণ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি গুরত্বের সঙ্গে নিয়ে ১০০ কোটি বরাদ্দের নির্দেশ দেন।

বিএনপি সরকার আমলে বন্ধ হয়ে যাওয়া দৌলতপুর ও পিপলস জুট মিলসহ অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু করে আওয়ামী লীগ সরকার। খুলনা অঞ্চলে ৯টি রাষ্টায়ত্ত পাটকল রয়েছে। তার মধ্যে ছয়টি খুলনা নগরীতে, একটি দীঘালিয়ায় এবং অন্য দু’টি যশোরে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর