বিশ্বে ২৬ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 23:28:26

২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের অর্থনীতি হবে বিশ্বের ২৬ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

শনিবার (২০ অক্টোবর) সকালে বাংলা একাডেমিতে কবি শামসুর রহমান সেমিনার কক্ষে ড. আতিউর রহমানের চারটি বইয়ের পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. আতিউর রহমান বলেন, এক সময় বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুঁড়ির’ দেশ বলা হতো। কিন্তু আজ আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,  ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ১৯৭২ সালে যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফেরেন তখনই তিনি সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন," আমরা সোনালি দেশ গড়ে তুলব।  আসুন দেশকে শোষণমুক্ত করে গড়ি তুলি। সকলে মিলে গড়ে তুলি সোনার বাংলাদেশ।" তিনি কৃষি ও শিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে সোনার বাংলা তুলতে চেয়েছিলেন। তার ছোঁয়ায় ধ্বংসস্তুপে ফিনিক্স পাখির মতো উঠে দাঁড়াতে থাকে হার না মানা সোনার বাংলাদেশ। কিন্তু তখনই হায়ানারা শারীরিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে আলাদা করে দেশবাসীর থেকে। অনিশ্চিত অন্ধকারে চলে যায় দেশ।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ফের দেশ এগিয়ে চলা শুরু করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে। শুরু হয় নয়া উদ্দীপনায় দিনবদলের যাত্রা। বাহাত্তরের ৮ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি চলতি বছর ২৮৫ বিলিয়ন ডলার হতে চলেছে। সর্বশেষ অর্থবছরে জিডিপি বেড়েছে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ হারে। উন্নত দেশ গড়ে তুলতে এখন দরকার গুণগত শিক্ষা।

অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একটি নিরবিচ্ছিন্ন ইতিহাস বলে উল্লেখ করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, একদল জ্ঞান পাপী ও বিশ্বাসঘাতক জাতির এক দুঃসময়ে বলতে চেয়েছিলো বঙ্গবন্ধু নাকি কেউ নয়। কতোটা জঘন্য হলে এরা এ কথা বলতে পারে।

ড. আতিউর রহমানের পাঠ উন্মোচন করা চারটি বই হলো, শেখ মুজিব বাংলাদেশের আরেক নাম; ‘ফরম অ্যাশেস টু প্রসপারিটি’; ‘নিশিদিন ভরসা রাখিস’; ‘প্রান্তজনের স্বপক্ষে’।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ, মাহফুজুর রহমান, তৌফিক আহমদ চৌধুরী।

বক্তরা বলেন,  দেশের ব্যাংকিং খাতে ড. আতিউর রহমানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আগে বাংলাদেশে ব্যাংক এর অভিযোগ বাক্সে কি আসত তা নিয়ে সরাসরি কথা বলেননি কোনো গভর্নর। কিন্তু ড. আতিউর রহমান প্রত্যন্ত একটি গ্রামের কৃষকের ফোন কলও রিসিভ করে তার অভিযোগ শুনেছেন। তার সমস্যার সমাধান করেছেন। এমন নানা উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন যার সুফল এখন আমরা ভোগ করছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর