এখন থেকে শুধু পণ্যের দাম লিখে তা পরিশোধের সময় গ্রাহকের কাছ থেকে ভ্যাটের অর্থ রাখা যাবে না। আগেই পণ্যের মূল্য ও ভ্যাট লিখতে হবে তালিকায়। যেন গ্রাহক বুঝতে পারেন খাবার গ্রহণ শেষে তাঁকে মোট কত টাকা পরিশোধ করতে হবে। একই সঙ্গে বিক্রয়কেন্দ্রে ইএফডির মতো বিক্রয় চালান মুদ্রণের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর এনবিআরের প্রথম সচিব (মূসক নীতি) কাজী ফরিদ উদ্দীন সই করা এক আদেশে বলা হয়, এখন থেকে ইএফডির মতো বিক্রয় চালান মুদ্রণের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং অনুরূপ চালান ছাড়া ভিন্ন কোনো চালান যেমন—কথিত সেটলমেন্ট বা খসড়া চালান ইস্যু করা যাবে না।
একই সঙ্গে ২০১৯ সালের ২৩ জুন জারিকৃত আদেশের অনুচ্ছেদ ২ এর দফা (গ) এর ৬ নম্বরে এ বিষয়টি যুক্ত হবে। বিষয়টি হলো সরবরাহকৃত পণ্য বা সেবার বিবরণ, পরিমাণ, একক মূল্য (মূসক বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মূসক ও সম্পূরক শুল্কসহ), মোট মূল্য (মূসক বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মূসক ও সম্পূরক শুল্কসহ) এবং মূসক বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মূসক ও সম্পূরক শুল্কের হার ও পরিমাণের ক্ষেত্রে সব মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রদর্শিত হবে। বর্তমানে এসি রেস্তোরাঁ বা ফাস্ট ফুড খাবারের ওপর ১০ শতাংশ এবং নন-এসি রেস্তোরাঁয় সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা আছে। ব্র্যান্ডের শোরুমে পোশাকে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়।