আজ ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার জাতীয় আয়কর দিবস। ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের আয়কর বিবরণী দাখিলের শেষ দিনও আজ। 'মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, সবাই মিলে দেব কর' শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবার সারাদেশে দিবসটি উদযাপন করছে।
২০০৮ সাল থেকে দেশে আয়কর দিবস উদযাপিত হচ্ছে। আগে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর দিবসটি উদযাপিত হতো। তবে ২০১৬ সাল থেকে ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবস পালন করছে এনবিআর। এবার কর দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে 'কর প্রদানে করদাতাদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে মুজিববর্ষের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন।'
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। জাতীয় আয়কর দিবসে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা করেছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও বিশেষ আয়োজন রেখেছে।
দিনটি উপলক্ষে আজ সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সভাকক্ষে ‘রুপকল্প বাস্তবায়ন ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আয়করের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও অন্যান্য বিভাগীয় শহরে আয়করের ভুমিকা তুলে ধরে সেমিনারের আয়োজন করা হবে।
কর দিবসের আলোচনায় করদাতা বিশেষ করে ব্যবসায়ী, আয়কর আইনজীবি, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গণের জাতীয় পর্যায়ের সেলিব্রেটি, সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।
প্রতিবছর জাতীয় কর দিবস জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলেও এবারও করোনা মহামারির কারণে লোকসমাগম হয়, এ ধরনের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। এ কারণে কোনো শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়নি। এমনকি কর প্রদানে উৎসাহী করতে সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন, এমন তারকাদের দিয়ে প্রচারমূলক কার্যক্রম এবার করা হচ্ছে না। গতবারের মতো এ বছরও আয়কর মেলার আয়োজন হয়নি। মেলার পরিবর্তে সারা দেশে এনবিআরের আওতাধীন ৩১টি কর অঞ্চলের ৬৪৯টি সার্কেলে মেলার মতো উৎসবমুখর পরিবেশে রিটার্ন জমা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবছর ৩০ নভেম্বর বিনা জরিমানায় আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন থাকে।