সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে কমেছে ব্রয়লার মুরগি, আটা, আদা ও পেঁয়াজের দাম। বিপরীতে বেড়েছে চাল, মসুর ডাল ও মসলার দাম। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে সবজিসহ অন্যান্য নিত্য পণ্যের দাম।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, খিলক্ষেত বাজার, আজিমপুর কাঁচাবাজার ও হজ্জ ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধা কাঁচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা। সোনালী মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, লেয়ার ২২০ থেকে ২২৫, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৯০ থেকে ৫৩০ টাকা কেজি। গরুর মাংস কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৬০-৬০০, খাসির মাংস ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকা কেজি।
এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪৫ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা, আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, শুকনো মরিচ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে সবজির দাম। বাজারে প্রতি কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। শিম ৪০ থেকে ৫০, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকায়, ঢেঁড়স ৫০ টাকায়, মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, শালগম ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। প্রতি পিস ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪০, বাঁধাকপি ৩৫ ও লাউ ৬০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৩৫-৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম বেড়েছে মাঝারি আকারের চালের। প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২, মাঝারি মানের চাল ৫২ থেকে ৫৮ টাকা, চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৪২- ৪৫ টাকা। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকা এবং প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি।
কিছুটা কমেছে মাছের দাম। প্রতি কেজি রুই ও কাতল বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩৫০ টাকা, কৈ ৫০০ টাকা, শিং ও টাকি মাছ কেজিপ্রতি ২৫০-৩৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা, নলা ১৮০-২২০ এবং চিংড়ি ৬০০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আকারভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা পযর্ন্ত।
বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা, বোতলজাত বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, খোলা পাম অয়েল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩০- ১৩৫, ২ টাকা বেড়েছে পাম অয়েল সুপারের দাম। পাম অয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা লিটার।