সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও (২৭ জানুয়ারি) সূচকের পতন ঘটেছে শেয়ারবাজারে। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায়। মাঝে সামান্য পতন ঘটলেও বেলা সাড়ে ১২টা পযর্ন্ত বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। কিন্তু শেষ দিকে বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমতে শুরু করলে সূচকের পতন ঘটে। দিনশেষে প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৭ হাজার ২৭ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের পাশাপাশি কমেছে অপর দুই সূচকও। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২৬০২পয়েন্টে এবং শরীয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪৯৯ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় মোট ৩৮১টি কোম্পানি। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪২টির, কমেছে ১৮৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
বাজারটিতে সূচক ও শেয়ারদর কমলেও বেড়েছে মোট লেনদেন। আজ ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। গতকাল লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে আজ লেনদেন বেড়েছে ১০৩ কোটি ২২ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে আজ সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর। কোম্পানিটির লেনদেন হয় ৬১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের লেনদেন হয় ৬১ কোটি টাকা এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকা কুইন সাউথের লেনদেন হয় ৫০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসপিআই ৬ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩২২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২২টির, কমেছে ১৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম। সিএসইতে আজ ৪৮ কোটি ৫ লাখ ৮২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।