স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে আরও বেশি সহযোগিতা করতে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংককে (এডিবি) অনুরোধ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এডিবির নির্বাহী পরিচালক সমির কুমার খারে সাক্ষাৎ করতে আসলে অর্থমন্ত্রী এই অনুরোধ জানান।
সাক্ষাৎকালে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিংটংসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় এডিবির নির্বাহী পরিচালকের কাছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা বিনির্মাণের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী দক্ষ, যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর ২২দশশিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (যা জিডিপির ৬.২৩%) প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে এডিবিকে জানান অর্থমন্ত্রী।
আরও জানানো হয়, এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারকে ১৯.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা দিয়েছে সংস্থাটি। এডিবি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণের লক্ষ্যে ১ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা, কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিসট্যান্স প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্যখাতে ১০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য ৯৪০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা এবং ৯.৩৪ মিলিয়ন ডলার অনুদান সহায়তা দেওয়ায় এডিবিকে ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী।
এডিবির নির্বাহী পরিচালক জানান, মহামারি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারে এডিবি শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে এবং ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের পাশে সবসময় এডিবি থাকবে।