গত সপ্তাহের পতনের রেশ কাটেনি শেয়ারবাজারে। রোববার (৬ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের বড় পতন ঘটেছে। সেইসঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। তবে সামান্য বেড়েছে মোট লেনদেনের পরিমাণ। একই চিত্র দেখা গেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।
আজ ডিএসইতে লেনদেন শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে সূচক কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হলেও তা পতন ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। দিনশেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৬৩৮ পয়েন্টে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৩৮ পয়েন্টে এবং শরীয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৩১ পয়েন্টে।
আজ বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩৭৯টি কোম্পানি। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ২৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
আজ ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৫১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে আজ লেনদেন বেড়েছে ৭ কোটি টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর। কোম্পানিটির লেনদেন হয় ৭০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফরচুনের লেনদেন হয় ৬৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা এবং ২১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা লেনদেন করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসই সার্বিক সূচক সিএসপিআই ১৩৫ পয়েন্ট কমেছে। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৭৪টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৫টির, কমেছে ১৫৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম। এদিন সিএসইতে আজ মোট লেনদেন হয় ১৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।