পাগলা ঘোড়ার মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। কোন প্রচেষ্টাই কাজে আসছে না দাম নিয়ন্ত্রণে। এতে একদিকে যেমন বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয় অপরদিকে বাড়ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের দুর্দশা।
শুক্রবার (১১ মার্চ) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে মাংস, সবজি, মাছ, পেঁয়াজ, আটাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা পযর্ন্ত বেড়েছে।
বাজারে প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে টমেটো ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, করলা কেজিপ্রতি ১২০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, ফুলকপি আকারভেদে প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, মটরশুঁটি ৮০ টাকা। এছাড়া কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়, গতসপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া আলু (পুরনো) ২০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পযর্ন্ত বেড়েছে মাংসের দাম। বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকায়, গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৬০০ থেকে ৬২০ টাকায়। গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়।
বাজারে প্রতিকেজি চাষের রুই বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, তিন থেকে পাঁচ কেজি ওজনের কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, শিং ও টাকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, শোল মাছ ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে পাঙ্গাস। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। এছাড়া আকারভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি।
৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৮১০ থেকে ৮৩০ টাকায়, খোলা পামওয়েল তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৬ থেকে ১৫৮ টাকায়, পামওয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৫৮ থেকে ১৬০ টাকায়।
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে চালের দাম। প্রতিকেজি চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৭০ টাকা, মাঝারি আকারের চাল ৫২ থেকে ৫৮ টাকা এবং মোটা চাল কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকায়।
কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে খোলা আদা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। খোলা ময়দা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ময়দা ৫২ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়। গতসপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকায়, হলুদ বিক্রি হচ্ছে২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, শুকনা মরিচ ১৫০থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।