শেখ হাসিনা সেনানিবাসের জন্য ১৮০৩টি যানবাহন ক্রয় করা হবে

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 12:34:59

শেখ হাসিনা সেনানিবাসে ৭ পদাতিক ডিভিশনের ৫১টি ইউনিটের সাংগঠনিক কাঠামোতে আগামী ১১ বছরে এক হাজার ৮০৩টি যানবাহন ক্রয় করা হবে। সম্প্রতি অর্থ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। বরিশাল ও পটুয়াখালীতে সেনাবাহিনী নতুন এই সেনানিবাস গড়ে তুলছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব ফয়েজ আহমেদের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এসব যানবাহন ক্রয়ের প্রস্তাব করে।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকায় অরক্ষিত থাকার কারণে প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে। দক্ষিণের বৃহৎ উপকূলীয় এলাকা বরিশাল ও পটুয়াখালীতে নেই কোনো সেনানিবাস। অথচ এ অঞ্চলটি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও কৌশলগত কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং দুর্যোগপূর্ণ এলাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রায় দুই’শ কিলোমিটার দূরের যশোর সেনানিবাসের সহায়তা নিতে হয়। এ অবস্থার গুরুত্ব বিবেচনা করেই পায়রা নদীর লেবুখালী তীরে সরকার ঘোষিত ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ এর আওতায় আন্তর্জাতিক মানের সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৩১তম সেনানিবাস স্থাপন করা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘শেখ হাসিনা সেনানিবাস’। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেশের নতুন এ সেনানিবাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে বরিশালে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অর্থ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা সেনানিবাসে সবচেয়ে বেশি যানবাহন প্রয়োজন তৃতীয় বছর। ওই বছর সেখানে মোট ৩৪৪টি যানবাহন দরকার হবে। এছাড়া চতুর্থ বছরে ৩০৫টি, চলতি বছরে ২৫৩টি এবং শেষ বছরে ৩১টি যানবাহনের প্রয়োজন হবে। আর অফিসার ও সিপাহীদের জন্য ১১ বছরে ১০৩টি মোটরসাইকেল প্রয়োজন। এই সেনানিবাস কৌশলগত দিক থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সম্ভাব্য যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্রুত মোকাবিলা করা সহজ হবে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মোট এক হাজার ৫৩২ একর জমিতে নতুন সেনানিবাসটি স্থাপন করা হয়েছে। এক হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চলতি সময় থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রকল্প এলাকায় ১৯৭৫ সাল থেকে চর সৃষ্টির মাধ্যমে এসব জমির সৃষ্টি হয়েছে। অদ্যাবধি সেখানে কোনো জনবসতি গড়ে ওঠেনি। ফলে ঘরবাড়ি বা স্থাপনার কোনো ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসনের প্রয়োজন হবে না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর