ঈদ মানেই উৎসব। এই উৎসবের আর মাত্র ১৪ দিন বাকি। তাই ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর শপিংমলগুলোয় জমে উঠেছে কেনাকাটা। করোনাভাইরাসের ধকল কিছুটা কাটিয়ে দুই বছর পর এবারেই ঈদের কেনাকাটায় স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে রাত অবধি কিছু কিছু শপিংমলে কেনাকাটা চলছে। নিউ মার্কেট গাউছিয়া থেকে শুরু করে রাজধানীর অভিজাত শপিংমলে কেনাকাটার ব্যস্ত চিত্র দেখা গেছে। এমনকি যারা দিনের বেলা যানজট ও মানুষের ভিড় এড়িয়ে নিরিবিলিতে কেনাকাটা করতে চান, তারাই ইফতারির পর ভিড় করছেন মার্কেটগুলোতে।
বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, এসব জায়গায় পোশাকে নতুনত্বের সঙ্গে দামের তারতম্য রয়েছে। প্রতিটি পোশাকেরই দাম কিছুটা বেড়েছে। এবারের ঈদ আয়োজনে রয়েছে- শিশুদের শার্ট, ফতুয়া, শর্ট স্লিভ, ফুল স্লিভ, লং প্যান্ট, কোয়ার্টার প্যান্ট ও বিভিন্ন রংয়ের পাঞ্জাবি। এছাড়া মেয়ে শিশুদের জন্য রয়েছে- ফ্রক, পার্টি ফ্রক, ফ্যাশন টপস, থ্রি পিস, জাম্প স্যুট, নীমা সেট, টপ বটম সেট, লং ও শর্ট স্লিভ শার্ট, পলো টি-শার্ট ও কার্গো। এসব পোশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে।
পুরুষের জন্য রয়েছে- হালকা ও টেকসই ফেব্রিকের তৈরি বিভিন্ন রংয়ের পাঞ্জাবি কালেকশন, শার্ট, টি-শার্ট, ইজি কেয়ার শার্ট, পাজামা, ডেনিম প্যান্টস, কাইতেকি প্যান্টস, জিন্স ও গ্যাবাডিং।
আর মেয়েদের জন্য রয়েছে- থ্রি পিস, টু পিস, কাজ করা জর্জেট কামিজ, ভিসকস কামিজ, বিভিন্ন রংয়ের প্রিন্ট লং শার্ট, টপস, টিউনিকস, কামিজের জন্য রয়েছে এমব্রয়ডারি স্ক্যান্টস, পালাজ্জো ও লেগিংস। এসব পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ৪৫০ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া মেয়েদের নানা কালেকশনের বোরকা পাওয়া যাচ্ছে ৬৫০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। তবে মার্কেটভেদে দামে তারতম্য রয়েছে।
সারা লাইফস্টাইলের ওয়ারি আউটলেটে সমন্বয়কারী শামী বলেন, আমরা ক্রেতাদের কথা বিবেচনায় রেখে এবারের ঈদে বাহারি ও নান্দনিক ডিজাইনের পোশাক এনেছি। বিশেষ করে পাঞ্জাবিতে আমাদের হিউজ কালেকশন। আর দাম রিজেনেবল। যারা সারা থেকে কিনেন তারা জানেন, সাধ্যের মধ্যে সারা ক্রেতাদের বাহারি ডিজাইনের পোশাকের চাহিদা মেঠায়।
তিনি আরো বলেন, এবার প্রচণ্ড গরম থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে সুতি ও আরামদায়ক পোশাক বেশি কিনছেন। জাঁকজমক পোশাক অনেকেই পরিহার করছেন।
রাজধানীর গুলশানের আড়ং ঘুরে দেখা যায়, শোরুমটি ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এবার আড়ংয়ে ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখেই এবারের ঈদ কালেকশন সাজানো হয়েছে। গরমের বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
নিউমার্কেটে শপিং আসা নাজনীন বলেন, নিউমার্কেটে আসা আভাসে পরিণত হয়েছে। এখানে না এলে ভালো লাগে না। ঈদে অনেকের শপিং করতে হয়। তাই এখানে আসি।