সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতায় দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এদিন সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এর ফলে টানা তিন কার্যদিবস (বৃহস্পতি, রোব ও সোমবার) দেশের উভয় বাজারে দরপতন হয়েছে। তবে তার আগের দুই কার্যদিবস (মঙ্গলবার ও বুধবার) সূচক উত্থানের মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে।
সোমবার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়ে চলে সকাল ১১টা পর্যন্ত। এরপর শেয়ার বিক্রির চাপে শুরু হয় সূচক পতন,যা দিনের বাকি সময় পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ১০ য়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৩৫ পয়েন্ট।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকসহ কয়েকটি খাতে মিশ্র প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন হওয়ার বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশের পুঁজিবাজার।
ডিএসইর তথ্য মতে, এদিন বাজারে ১০ কোটি ৪৬ লাখ ৪৯ হাজার ১২৯টি সিকিউরিটিজের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৩৭৭ কোটি ১৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৪৪০ কোটি ২৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকার। তার আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিলো ৫১২ কোটি ১৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
ডিএসই’র তিন সূচকের মধ্যে ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১০ দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ৪ দশমিক ৬১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে এবং শরীয়াহ সূচক ৪ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৯টির, কমেছে ১৭৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির।
অপরদিকে সিএসইতে সার্বিক সূচক আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৩৫ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৯৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩০ কোটি ৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ২৭ কোটি ৭৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকার।
এ বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।