২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের কথা সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনাম শীর্ষক জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতাকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন।
বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচককে ৫ দশমিক ৩ শতাংশে বেঁধে ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে গড় মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে।
বাজেট বক্তৃতায় মুস্তফা কামাল বলেন, চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে অসঙ্গতি রোধের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বদ্ধপরিকর। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মূলত বহিঃস্থ এবং কিছু অভ্যন্তরীণ কারণে সম্প্রতি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যস্ফীতির বৈশ্বিক কারণমূহের মধ্যে রয়েছে, বাণিজ্য সহযোগীদের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, টাকার অবচিতি, বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ- যে বিষয়গুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ২০২২ সালের গড় মূল্যস্ফীতি যথাক্রমে ৭.৬৮ এবং ৭.৪১ শতাংশ হবে মর্মে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল পূর্বাভাস দিয়েছে। অভ্যন্তরীণ কারণসমূহের মধ্যে রয়েছে, কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, যা অর্থনীতিকে পূর্ণ কর্মসংস্থানের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য যেন অস্থিতিশীল না হয়, সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের সরবরাহ বৃদ্ধি করেছে।
মূল্যস্ফীতি যাতে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং বেসরকারি খাতে প্রয়োজনীয় ঋণ প্রবাহ অব্যাহত থাকে সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রা সরবরাহ বজায় রাখছে। মূলষ্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আগামী বাজেটে আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে আমি পূর্বেই আলোচনা করেছি। এ সকল পদক্ষেপের কারণে আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৫.৬ শতাংশ হবে মর্মে আমি আশা করছি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন বক্তব্য শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।