২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের ঘোষণার পাশাপাশি ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম (বাজেট) অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় আমি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা দিচ্ছি যে সরকার আগামী অর্থবছরে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় বৃদ্ধকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয়ভাবে একটি সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের অঙ্গীকার করেছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে সরকার জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্রে একটি ব্যাপকভিত্তিক সমন্বিত অংশগ্রহণমূলক পেনশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাব করে। অবশেষে আগামী অর্থবছরে এটি চালু হচ্ছে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের ষাটোর্ধ্ব সব নাগরিকের জন্য একটি সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রণয়ন এবং কর্তৃপক্ষ স্থাপনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পেনশন স্কিমের মৌলিক দিকগুলো তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশের নাগরিক ১৮ থেকে ৫০ বছরের সবাই অংশ নিতে পারবেন। তবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়টি আমরা পরে বিবেচনা করব। জাতীয় পরিচয়পত্রের ওপর ভিত্তি করে নাগরিকরা পেনশন হিসাব খুলতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে এ পদ্ধতি ঐচ্ছিক থাকবে, পরে বাধ্যতামূলক করা হবে।একজন নাগরিক এ সুবিধা পাবেন জীবিত অবস্থায় ৮০ বছর পর্যন্ত। এ স্কিমে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বয়সভেদে আর্থিক সুবিধার অঙ্কও কম-বেশি হবে।