প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট এলেই দেশের মানুষের সবচেয়ে আগ্রহের জায়গা তৈরি হয় পণ্যের দাম বাড়া-কমা নিয়েই। ব্যতিক্রম নয় এবারের বাজেটও। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই হচ্ছে এবারের বাজেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে ' কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে বাংলাদেশের ৫১তম বাজেটে উপস্থাপন করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার চতুর্থ বাজেট।
যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- স্বর্ণ আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে স্বর্ণালঙ্কারের দাম কমতে পারে।
শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের শ্রবণ সহায়ক যন্ত্রের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে শ্রবণ সহায়ক যন্ত্রের দাম কমতে পারে।
হুইল চেয়ারে বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১০ শতাংশ অগ্রিম কর থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে হুইল চেয়ারের দাম কমতে পারে।
এ ছাড়া শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পানির ফিল্টার, বিমানের জন্য ব্যবহৃত টায়ার, কাজু বাদাম ও পেস্তা বাদামে।ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
এছাড়া দাম কমছে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, টোনার, হার্ডডিস্ক, সিসিটিভি, আইসিটি পণ্য, দেশীয় কৃষি পণ্য, দেশীয় মোটরগাড়ি, দেশীয় ডায়াপার, স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্রেসার কুকার, পাওয়ার টিলার, মাইক্রোবাস, হাইব্রিড গাড়ি, মাইক্রোওভেন, ইলেকট্রিক ওভেন, দেশীয় মুঠোফোন, ক্যাপসিকাম, পেপার, স্পিনিং মিলের পেপার, দেশীয় রড, মুড়ি, নির্মাণ সামগ্রী।
‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ স্লোগান নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করা হয়েছে। নতুন এ বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে রাখার কথা বলা হচ্ছে।