প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) পর রফতানি আয়েও বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। চলতি অর্থবছরের চতুর্থ মাস অক্টোবরে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ (৪.৩৫ বিলিয়ন) ডলার দেশে এসেছে। এ আয় গত বছরের অক্টোবর মাসের চেয়ে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ কম। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম প্রায় ১৩ শতাংশ। গত বছরের অক্টোবরে রফতানি থেকে আয় হয়েছিল ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ৩ হাজার ডলার।
এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে রফতানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বুধবার (২ নভেম্বর) রফতানি আয়ের এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসের হিসাবে তৈরি পোশাকের রফতানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানিও বেড়েছে। অন্যদিকে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি কমেছে।
রফতানিকারক ও অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। এতে বাংলাদেশের প্রধান রফতানি বাজার ইউরোপ-আমেরিকার লোকজন পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। এর প্রভাবে রফতানি আয় কমছে। পাশাপাশি গ্যাস সংকটে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার প্রভাবও রফতানিতে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের চতুর্থ মাস অক্টোবরে রফতানি আয়ের লক্ষ্য ধরা ছিল পাঁচ বিলিয়ন ডলার। আয় হয়েছে ৪ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের চার মাস (জুলাই-অক্টোবর) পর্যন্ত রফতানির লক্ষ্য ছিল ১৭ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। রফতানি হয়েছে ১৬ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার।