বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডের ৬ষ্ঠ সংস্করণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডটি শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১২৪টি ডিজিটাল ক্যাম্পেইনকে পুরস্কৃত করা হয়।
বাংলাদেশে ডিজিটাল কাজ নিয়ে প্রচলিত একমাত্র সম্মাননা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড। এবারের সংস্করণে পুরস্কারের জন্য ১০০০ এর অধিক নমিনেশন জমা পড়ে। তার মধ্যে প্রাথমিক শর্ট লিস্টিং জুরি সেশনে ৪০৯টি নমিনেশন উত্তীর্ণ হয়। পরবর্তীতে ৭টি গ্র্যান্ড জুরি সেশনের মাধ্যমে ১২৪টি ডিজিটাল ক্যাম্পেইনকে পুরস্কারের জন্য চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ২১টি পৃথক ক্যাটেগরিতে চারটি র্যাংকে চূড়ান্ত বিজয়ীরা পুরস্কৃত হন। এবছর ৬৬ টি ব্রোঞ্জ, ৪৪ টি সিলভার, ১৩ টি গোল্ড এবং ১টি গ্র্যাঁপি পদক প্রদান করা হয়।
আয়োজনটির স্বাগত বক্তৃতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ফাউন্ডার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল এবং বাস্তব উপস্থিতির একটি দৈত্ব বাস্তবতায় বসবাস করছি। এই সময়ে আমাদের মানবিক ইমোশন বা অনুভূতিকে আরো বেশি সক্রিয় থাকতে হবে। ইনোভেশন আর সম্ভাবনার এই সময়ে আমাদের ডিজিটাল স্ট্রাটেজি হতে হবে অধিক সংগঠিত।’
ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডের ৬ষ্ঠ সংস্করণের পূর্বে সকালে অনুষ্ঠিত হয় ৯ম ডিজিটাল সামিট।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম ২০১৪ সালে ডিজিটাল সামিটের সূচনা করে। ধারাবাহিক সফলতার মাধ্যমে, ডিজিটাল সামিট দেশের ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য শীর্ষ একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল সামিট ২০২২ এর থিম ছিলো ‘’উইনিং দ্যা ডিজিটাল এইজ’’ । এই বছরের সামিটে ৩৫০ জনেরও বেশি পেশাদার ব্যক্তিত্ব অংশগ্রহণ করেছেন। এ বছরের সামিটের প্রধান লক্ষ্য ছিলো ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ড্রাস্টির চ্যালেঞ্জগুলোকে বিশেষজ্ঞ আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরা এবং অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও মত বিনিময়ের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় এই ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ধারা বজায় রাখা।
৪টি কিনোট সেশন, ৪টি প্যানেল ডিসকাশন, ২টি ইনসাইট সেশন এবং ১টি কেস স্টাডির সমন্বয়ে এই বছরের ডিজিটাল সামিট পরিচালিত হয়।
দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ বক্তাদের অংশগ্রহণ এবং আলোচনা ও মতামত বিনিময়ের একটি অন্যতম উপলক্ষ হয়ে উঠে নবম ডিজিটাল সামিট।
সামিটটির স্বাগত বক্তৃতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ডিরেক্টর এবং ক্রিয়েটিভ এডিটর নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা বলেন, কোভিড পরবর্তী বাস্তবতা ডিজিটাল বিশ্বের প্রকৃত সম্ভাবনাকে আমাদের কাছে উন্মোচন করেছে। তাই এখনই উপযুক্ত সময় ডিজিটাল বিশ্বের সুবিধা গুলোকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা। তবে কোনো সুবিধাই কিছু চ্যালেঞ্জ ছাড়া আসে না। তাই বিশেষজ্ঞদের একটি প্রধান দায়িত্ব থাকবে এই চ্যালেঞ্জগুলোকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করা।