এবারও পূর্বাচলে স্থায়ী ভবনে বসছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩। রোববার (১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মাসব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করবেন।
এরইমধ্যে আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য কুড়িল বিশ্বরোড থেকে থাকবে বাসের ব্যবস্থা।
এবার দেশি-বিদেশি মিলে মেলায় মোট ৩৫১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন থাকবে। গতবার এই সংখ্যা ছিল ২২৫টি। দেশীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়াও মেলায় সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, ভারতসহ ১০টি বিদেশি রাষ্ট্রের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান জানান, মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির বাস সার্ভিস থাকবে। প্রথমে ৩০টি বাস থাকলেও পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ১০০টি পর্যন্ত বাস প্রস্তুত রাখা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে স্টল বরাদ্দ শেষ হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান স্টল বরাদ্দ পেয়েছে, তারা ডেকোরেশনসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শেষ করেছে।
বাণিজ্য মেলায় নির্বিঘ্নে যাওয়ার জন্য ৩০০ ফিট রাস্তা যাতায়াত উপযোগী করা হয়েছে।
এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরে ও সামনের ফাঁকা জায়গা মিলে স্টল থাকবে। এতে করে দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। এবারও প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, জেনারেল স্টল, ফুডকোড, মিনি স্টল, প্রিমিয়ার স্টলসহ ৩২টি ক্যাটাগরি রয়েছে। মিলনায়তনের ভেতরে নিজস্ব একটা ক্যাফেটরিয়া রয়েছে। একসঙ্গে ৫০০ লোক বসে খাবার খেতে পারবে।
দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। মেলার পুরো সময়জুড়ে মেলাপ্রাঙ্গন ও আশেপাশে মোতায়েন থাকবেন পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি মেলার ভেতরে-বাইরে বসানো হয়েছে ২৭০টি সিসি ক্যামেরা।
বাণিজ্যমেলার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু বললেন, মেলার আশেপাশে আট শতাধিক পুলিশ সদস্য উপস্থিত থাকবেন। সেই সঙ্গে সাদা পোশাকের পুলিশ ও আমাদের গোয়েন্দা বিভাগের লোকজনও কাজ করবেন।