সৌহার্দ্য-৩ প্রকল্পের আওতায় অনুদানের অর্থ উপকারভোগীদের বিকাশ একাউন্টে ডিজিটালি বিতরণে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ এর সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আন্তর্জাতিক এনজিও কেয়ার বাংলাদেশ।
সম্প্রতি বিকাশের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ এবং কেয়ারের স্ট্রেনদিনিং হাউজহোল্ড অ্যাবিলিটি টু রেসপন্ড টু ডেভলপমেন্ট অপরটুনিটিস (সৌহার্দ্য-৩) প্রকল্পের চিফ অব পার্টি ওয়াল্টের মাওসাঁ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
বিকাশের কর্মাশিয়াল ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার এটিএম মাহবুব আলম, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মেহমুদ আশিক ইকবাল, সিনিয়র কি একাউন্ট ম্যানেজার সোমেল রেজা খান এবং কেয়ার বাংলাদেশের সৌহার্দ-৩ এবং অন্যান্য প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির ফলে সৌহার্দ্য-৩ প্রকল্পের আওতায় থাকা ১০ হাজার পরিবার বিশেষ করে যাদের ব্যাংক একাউন্ট নেই বা ব্যাংকিং সেবার বাইরে আছেন তারা সহজেই অনুদানের অর্থ তাদের বিকাশ একাউন্টে পেয়ে যাবেন। গ্রাহক তার অনুদানের অর্থ নিকটস্থ বিকাশ এজেন্টের পয়েন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গের দরিদ্র এবং অতিদরিদ্র মানুষের দরিদ্রতা নিরসনে ভূমিকা রাখতে বাংলাদেশ সরকার ও ইউএসএইড এর যৌথভাবে সৌহার্দ্য-৩ খাদ্য সহায়তা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যাত্রা শুরু করা সৌহার্দ্য-৩ প্রকল্প চলবে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
২০১১ সালে কার্যক্রম শুরু করা বিকাশ লিমিটেড ব্যাংকিং সেবার বাইরে এবং ভেতরে থাকা বাংলাদেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠীকে নানা ধরনের মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস দিয়ে আসছে।
বিকাশ- ব্র্যাক ব্যাংক, ইউএস ভিত্তিক মানি ইন মোশন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এর অন্তর্গত প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল-এর যৌথ মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।