অবসরের পর ব্যাংকের নিয়মিত কর্মকর্তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রাপ্য অর্থ সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে। আর ব্যাংকের চুক্তিভিক্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রভিডেন্ট ও গ্রাচ্যু্ইটি সুবিধা পাবেন না। ব্যাংকের চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যু্ইটি প্রদানে অনুসরণীয় নীতিমালা সংক্রান্ত নতুন সার্কুলারে এ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার (১৫ মে) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সার্কুলার জারি করে তা ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা, সুশাসন এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী এবং অধস্তন অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বয়সসীমার অসমতা দূর করতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের জারি করা সার্কুলারে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বয়সসীমা ৬৫ বছরে নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই সার্কুলারের মাধ্যমে বেসরকারি ব্যাংকের নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের জন্য অবসর গ্রহণের বয়সসীমার সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্বীয় ব্যাংকের অবসর গ্রহণের বয়স সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে, কতিপয় ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাদের মধ্যে থেকে কোনো কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্তির ক্ষেত্রে তাদের নিয়মিত চাকরিকালীন জমাকৃত পূর্বতন প্রভিডেন্ট ফান্ডের ওপর সুদ হিসাবায়ন অব্যাহত রাখা হয়েছে। তাছাড়া, চুক্তিভিত্তিক সময়কেও নিয়মিত চাকরির সময়ের সাথে যোগ করে সর্বমোট চাকরির মেয়াদ গণনাপূর্বক তার ভিত্তিতে প্রাপ্ত সর্বশেষ বেতনের অর্থকে ভিত্তি ধরে গ্রাচ্যু্ইটি বাবদ অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে, যা বিধি অনুযায়ী কোনোভাবেই প্রাপ্য নয়।
এমন প্রেক্ষাপটে ব্যাংক খাতে অধিকতর শৃঙ্খলা এবং সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যাংকে কর্মরত নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের নিয়মিত চাকরিকাল সমাপ্ত করার পর ব্যাংকের অত্যাবশ্যক প্রয়োজনে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিযুক্তির ক্ষেত্রে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রাচ্যু্ইটি বাবদ প্রাপ্যতা নির্ধারণে এখন থেকে নিচের নীতিমালা অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
ব্যাংকে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত চাকরিকাল সমাপ্ত হওয়ার পর চূড়ান্ত অবসরের সময় বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণপূর্বক প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রাপ্য অর্থ সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে। চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কোনো প্রভিডেন্ট ফান্ড সৃষ্টির প্রয়োজন নেই এবং তারা এরূপ সুবিধা প্রাপ্য হবেন না। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নতুন করে কোনো গ্র্যাচুইটি সুবিধা প্রাপ্য হবেন না।
ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।