এলপি গ্যাসের ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ৭৯ টাকা। ১২ কেজি এলপিজির নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৬৩ টাকা। অটো গ্যাস প্রতি লিটারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২.৫৪ টাকা। নতুন দর সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজির দর ছিল ১২৮৪ টাকা, আর অটো গ্যাসের দাম ছিল প্রতি লিটার ৫৮.৫৭ টাকা। জুলাই মাসে ছিল সবচেয়ে কম দর, প্রতি লিটাদের দাম ছিল ৪৬.৪৯ টাকা। আর ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ছিল ৯৯৯ টাকা।
সোমবার (২ অক্টোবর) বিইআরসির হল রুমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নতুন দর ঘোষণা করে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য কামরুজ্জামান, ড. মুহাম্মদ ইয়ামিনচৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। ১২ এপ্রিল দর ঘোষণার সময় বলা হয় আমদানি নির্ভর এই জ্বালানি সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তিমূল্য ধরা হবে। সৌদির দর ওঠা-ওঠা-নামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। তবে বিইআরসির ঘোষিত দর বাজারে পাওয়া নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ভোক্তাদের। তাদের অভিযোগ হচ্ছে বাজারে নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা তার ইচ্ছামত দর আদায় করছেন।
বিইআরসিও অভিযোগ কিছুটা মেনে নিয়েছেন। তাদের বক্তব্য হচ্ছে কিছু কিছু জায়গায় দর কার্যকর হচ্ছে না। সেজন্য তারা নানা রকম পদক্ষেপ নিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই ৪টি কোম্পানিকে শোকজ করা হয়েছে। বিইআরসি নিজেও অভিযান পরিচালনা করছে, আবার ভোক্তা অধিদফতর ও জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়ে অভিযানে নামার জন্য বলা হয়েছে।
দর প্রসঙ্গে বিইআরসি চেয়ারম্যানের বক্তব্য হচ্ছে, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সেসব বিক্রেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ভবিষ্যতেও নেওয়া হবে।