বাংলাদেশ নিরাপদ, টেকসই ও আন্তঃসংযোগ জ্বালানি ভবিষ্যৎ গড়তে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। বিদ্যমান জ্বালানি ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিত ও সমন্বিত উদ্যোগের বিশেষ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এসকাপ আয়োজিত তৃতীয় এশিয়া প্যাসিফিক এনার্জি ফোরামে এমন মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলে প্রাথমিক জ্বালানির চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই চাহিদা ক্রমবর্ধমান উন্নয়নকে ব্যাহত করছে। চাহিদা পূরণে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সহযোগিতা অবশ্যই বাড়াতে হবে। আঞ্চলিক সহযোগিতা, কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও নীতির সমন্বয়ে বিদ্যমান সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে এবং বিনিয়োগকারীদের নানাবিধ সুবিধা দিচ্ছে। আঞ্চলিক ও উপ আঞ্চলিক সহযোগিতা ও কানেক্টিভিটিকে বাংলাদেশ বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয় । এখন ভারত থেকে ২৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, গ্রিড আন্তঃসংযোগের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ হতে আরও বিদ্যুৎ আমদানি করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে আঞ্চলিক এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানো আবশ্যক।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আরমিদা সালসিয়া আলিসজাহবানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং জ্বালানি মন্ত্রী পিরাপান সালিরাথাভিভাগা সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।