রফতানি বাণিজ্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় রফতানি ট্রফি (স্বর্ণ) ও সনদ অর্জন করেছে স্নোটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠান স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড। পোশাক খাতের ওভেন ক্যাটাগরিতে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য সবচেয়ে বেশি রফতানি আয়ের বিবেচনায় মর্যাদাপূর্ণ এ ট্রফি পেল স্নোটেক্স।
বুধবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় রফতানি ট্রফি (স্বর্ণ) গ্রহণ করেন স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত জাতীয় রফতানি ট্রফি ২০২০-২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ট্রফি প্রদান করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বাংলাদেশের সফল উদ্যোক্তাদের অবদানের স্বীকৃতি প্রদান, রফতানি বৃদ্ধিতে উৎসাহিতকরণ এবং বহিঃবাণিজ্য সম্প্রসারণ ও সুসংহতকরণের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে অন্যান্য বছরের ন্যায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরে মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ, ২৫টি প্রতিষ্ঠান রৌপ্য ও ১৯টি প্রতিষ্ঠান ব্রোঞ্জ ট্রফি গ্রহণ করে। স্নোটেক্স গ্রুপ তৈরি পোশাক (ওভেন) খাতে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জাতীয় রফতানি ট্রফি স্বর্ণ অর্জন করে। প্রতিষ্ঠানটি গত অর্থবছরেও (২০১৯-২০২০) একই শ্রেণিতে জাতীয় রফতানি ট্রফি (রৌপ্য) অর্জন করেছে।
উল্লেখ্য, ‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ‘স্নোটেক্স অ্যাপারেলস’। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’ এবং ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ‘স্নোটেক্স’ চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান।
এরইমধ্যে স্নোটেক্স আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে অর্জন করেছে ইউএসজিবিসির লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেটে। গ্রিন ফ্যাক্টরি এওয়ার্ড, বাংলাদেশ বিজনেস এওয়ার্ড, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘হেলথ অ্যান্ড সেফটি’ অ্যাওয়ার্ড সহ প্রতিষ্ঠানটি সেরা করদাতা হিসেবে ট্যাক্স কার্ড সম্মাননা-২০২২, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি উত্তম চর্চা পুরষ্কার-২০১৭, ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২০, এসডিজি অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট প্রাকটিস অ্যাওয়ার্ড-২০১৮, ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১ ও ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক ২০২২’ এ বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি এখন প্রায় ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করে যাচ্ছে।