তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৩ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৪০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মাসে (নভেম্বর) এই দর ছিল ১৩৮১ টাকা।
অন্যদিকে অটো গ্যাস প্রতি লিটার ৬৩.৩৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪ দশমিক ৪৩ টাকা। নতুন দর রোববার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বিইআরসি চেয়ারম্যান।
আন্তর্জাতিক বাজারদর অপরিবর্তিত থাকলেও ডলার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান। গতমাসে ডলারের গড় দর ছিল ১১৩.৯২ টাকা, চলতি মাসে বেড়ে ১১৬.৩৯ টাকা হয়েছে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) বিইআরসির হল রুমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নতুন দর ঘোষণা করে চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য ড. মো. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান।
অক্টোবরে ১২ কেজির দর ছিল ১৩৬৩ টাকা, সেপ্টেম্বরে ছিল ১২৮৪ টাকা। সবচেয়ে কম ছিল জুলাই মাসে ৯৯৯ টাকা। অন্যান্য বছর নভেম্বরে দাম কমে এলেও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের কারণে এখনও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে আন্তর্জাতিক বাজার।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। ১২ এপ্রিল দর ঘোষণার সময় বলা হয় আমদানি নির্ভর এই জ্বালানি সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তিমূল্য ধরা হবে। সৌদির দর ওঠা-ওঠা-নামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। তবে বিইআরসির ঘোষিত দরে বাজারে পাওয়া নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ভোক্তাদের। তাদের অভিযোগ হচ্ছে বাজারে নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা তার ইচ্ছামত দর আদায় করছেন।
দর প্রসঙ্গে বিইআরসি চেয়ারম্যানের বক্তব্য হচ্ছে, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সেসব বিক্রেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ভবিষ্যতেও নেওয়া হবে।