চালের দাম কেজিতে ৪০ টাকা আমাদের জন্য সহনীয় : অর্থমন্ত্রী

, অর্থনীতি

সেন্ট্রাল ডেস্ক ৪ | 2023-08-10 13:09:23

চালের দাম সর্বনিম্ন ৪০ টাকা রাখার ক্ষেত্রে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যের সমর্থন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, চালের দাম ৪০ টাকার মধ্যে থাকবে, সেই ৪০ টাকা আমার মনে হয় থাকা উচিত। কারণ যাঁরা খাদ্য উৎপাদন করেন, তাদের স্বার্থও আমাদের দেখতে হয়। ৪০ টাকার মতো দাম হলে সেটা আমাদের জন্য সহনীয়। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। চালের উচ্চ মূল্য নিয়ে সমালোচনার মধ্যে উৎপাদনে ‘কৃষকের আগ্রহ ধরে রাখতে’ চালের দাম ৪০ টাকার নিচে না নামানোর পক্ষে বৃহস্পতিবার মত জানিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল। তিনি বলেন, “আমার ব্যক্তিগত মতামত, ৪০ টাকার নিচে কখনও চালের দাম আর আসবে না।এটা (চালের দাম ৪০ টাকার নিচে হওয়া) বাস্তবসম্মতও না। অনুষ্ঠানে মুহিত বলেন, খাদ্য নিয়ে ভাবনার কোনো কারণ নেই, সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। আমরা এখন স্বস্তির অবস্থানে আছি। আমাদের এবারের যে সংকট, এটাকে সংকট বলা উচিত হবে না। এটা একটা সাময়িক সমস্যা এবং এর সমস্যার সমাধান খাদ্য মন্ত্রণালয় করে দিয়েছে।তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত আমদানি করেছে। ১২ লাখ টন খাদ্যদ্রব্য মজুতে আছে। যেটা আমাদের দেশের জন্য যথেষ্ট। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলি, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কেউ কেউ বলে, যদি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণই হলেন, তবে কেন তিন–চার মিলিয়ন টন গম আমদানি করেন? এটা একটা অনুধাবনের বিষয়। আমরা চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা চাল রপ্তানি করতেও সক্ষম। আমরা প্রচুর ভুট্টা উৎপাদন করি। আটা হয়তো অত্যন্ত কম, মাত্র দেড় লাখ টনের বেশি আমরা গম উৎপাদন করতে পারি না। কিন্তু খাদ্যের বিভিন্ন সামগ্রী যদি আমরা গ্রহণ করি, তাহলে আমরা সত্যিকারভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্য শুধু চাল নয়। চাল, গম, ভুট্টা, মাছ, সবজি, ফল...সবই খাদ্য।’ খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার কিছু বিষয়ে আমাদের সাবধান হওয়া দরকার বলে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যের কিছু শত্রুও আছে, যেগুলোকে যেন আমরা কোনোমতেই আমদানি না করি। মাঝেমধ্যে কিছু দুষ্কৃতকারী এসব করে। যেমন ব্রাজিলে একটি মাছ আছে—পিরানহা। সেটা মানুষকেও খেয়ে ফেলে। আমাদের দেশে পিরানহার মতো কামোট বলে একটা প্রাণী আছে, জলজ প্রাণী আছে। সেটা সুন্দরবন এলাকায় একসময় বেশ প্রতাপশালী হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে দুর্যোগপূর্ণ কোনো অবস্থা তারা সৃষ্টি করতে পারেনি। এ ব্যাপারে আমাদের সাবধান হতে হবে। বাইরে থেকে এ ধরনের কোনো খাদ্যের শত্রু যেন না ঢুকতে পারে। খাদ্যের আরেকটি শত্রু অবশ্যই আছে মহামারি, সেটাও অনেক সময় ছোঁয়াচে, এখান–সেখানে যায়। আমাদের সাবধানে সেটাকে প্রতিরোধ করতে হবে।’ বছরে ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজিতে চাল সরবরাহে সরকারের প্রকল্পের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এবার বোধহয় খাদ্যমন্ত্রীর চাপে পড়ে আমরা এটাকে ১০ টাকায় সরবরাহ করছি। এটা হচ্ছে মানুষের জীবন রক্ষার জন্য। সুতরাং, আমার মতে, এখানে আপত্তি করার কোনো কারণ নেই। আমাদের সামর্থ্য আছে, আমরা ভর্তুকি দিতে পারি।’ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

এ সম্পর্কিত আরও খবর