সিলেট থেকে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের আকস্মিক সফরে ধরা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্যামল চন্দ্র পাল। সিলেটের বরইকান্দির অফিস চত্বরে অবস্থিত উপকেন্দ্রের বেহাল দশা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
এসময় প্রতিমন্ত্রী নির্বাহী প্রকৌশলীর সার্ভিসে হতাশা প্রকাশ করে জানতে চান, কতদিন ধরে এই পদে আছ? চার বছর, জবাব পেয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সংশোধন হয়ে যাও না হলে সিলেটে থাকতে পারবা না।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় সিলেট শহরের বরইকান্দিতে অবস্থিত উপকেন্দ্র ও নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়টিতে আকস্মিক পরিদর্শনে তিনি এ সতর্ক করেন।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তিন দিনের সরকারি সফরে সিলেট রয়েছেন। তার নির্ধারিত সিডিউলে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি ছিল না। তিনি পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আকস্মিকভাবে ঢুকে পড়েন।
হাইভোল্টেজ উপকেন্দ্রটির ট্রান্সফরমারগুলো থেকে লুবওয়েল চুয়ে পড়ছিল। দীর্ঘদিন ধরে যে চুয়ে পড়ছে, তা সহজেই অনুমান করতে পারবে। ট্রান্সফরমারগুলোতে কালসিটে দাগ বসে গেছে, নিচেও তেল পড়ে নোংরা স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেছে। চুয়ে পড়া তেল ধরার জন্য খালি পানির বোতল বসিয়েছে। আর মাকসড়ার জালের একাধিক আস্তরণ তাতে শুকনো পাতা আটকে ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
অফিসের ভবনের পাশের রঙচটা ভবনটি কি কাজে ব্যবহৃত হয় জানতে চান প্রতিমন্ত্রী। নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, এটি একটি অভিযোগকেন্দ্র।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেখে তো মনে হচ্ছে, এটি একটি পরিত্যক্ত ভবন। কোন যত্ন নেই, এত দায়িত্বহীনতা সহ্য করা হবে না।
পতাকাবাহী গাড়ি দেখে কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি এগিয়ে এসেছিলেন। তারা অভিযোগকেন্দ্রের নাম শুনেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম বললেন, জীবনে কোনদিন ফোন দিয়ে তাদেরকে পায়নি। তারা কেউ ফোন ধরেন না, লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না।