রোজার আমেজ নেই বাজারে

, অর্থনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-03-08 13:02:13

মিরপুর ১ নম্বরের কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আকাশ। শুক্রবার (৮ মার্চ) কেনাকাটা করতে করতে এই ক্রেতা জানালেন, রোজার বাজারই করছেন। তবে প্রতিটি জিনিসের দাম চড়া। তাই বাড়তি কোন কেনাকাটা করার উপায় নেই। মাছ মাংসের বাজারে তো যেতেই এখন ভয় লাগে।

আকাশ জানান, সংসারে তিনি একমাত্র উপার্জন করেন। প্রতিবার পুরো রোজা মাসের বাজার করার চেষ্টা করেন। তবে এবার হবে না। কাটছাঁট করে অল্প দিনের কেনাকাটা করেছেন।

দুদিন পরেই শুরু হচ্ছে রোজা মাস। এ মাসকে ঘিরে মুসলমানদের মধ্যে বাড়তি উৎসব কাজ করে। খাওয়া-দাওয়া যোগ হয় বাড়তি আইটেম। বিশেষ করে ইফতার সামগ্রীর মধ্যে বেগুন, ছোলা, আলু, শসা, চিনি অন্যতম। কিন্তু এবার রমজানের আর মাত্র দুদিন বাকি থাকলেও বাজারে কোনো ক্রেতা নেই।


বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০৫-১১০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা, খোলা চিনি ১৪০ আর প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। বেগুন প্রতিকেজি ৮০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, করলা, ৬০ টাকা মটরশুঁটি প্রতিকেজি ৮০ টাকা, কাঁচা কলা হালি প্রতি ২০, লাল আলু ৪৫ টাকা কেজি, ঢ্যাঁরস ১০০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৬০, শিম ৬০, পেঁপে ৪০, কচুরমুখীর কেজিপ্রতি ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারেরও ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাঁক থাকলেও নেই বেচাবিক্রি।

মাছ মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে,  ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী  ১৪০০- ২২০০ টাকা, রুই মাছ ৩৮০-৫৫০ টাকা,  কাতল মাছ ৪০০-৭০০ টাকা, কালিবাউশ ৫০০- ১০০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৬০০ -১২০০ টাকা, কাঁচকি মাছ  ৪০০ টাকা, কৈ মাছ ৬০০-১২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০-৮০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-১২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০-১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৫০০-৮০০ টাকা, বেলে মাছ ১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৭০০- ১৪০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১০০০-১২০০ টাকা শোল মাছ ৭০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


ব্রয়লার মুরগি ২১৫- ২২৫ টাকা, কক মুরগি ৩১৫-৩২৫ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০- ৬৮০ টাকা প্রকারভেদে গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির লাল ডিম ১৩৫ টাকা এবং সাদা ডিম ১২৫ টাকা প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা আকাশ জানান, রমজানকে ঘিরে আগের তুলনায় দাম বেশি মনে হচ্ছে। আগে যে আলু ৪ কেজি ১০০ টাকা কিনতাম সেই আলু এখন ১০৫ টাকায় তিন কেজি কিনতে হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে মিরপুর-১ বাজারে পেঁয়াজ আলু রসুন আদা বিক্রি করছেন শরীফ। তিনি জানান, প্রতিবছর রমজান মাস শুরু হবার আগেই ক্রেতাদের কেনাকাটার ধুম লেগেই থাকতো। তবে এবছরের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। সকাল থেকে এখনো ৩০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়নি। তবে তিনি আশা করছেন হয়তো রোজার আগের দিন কেনাবেচা শুরু হতে পারে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর