বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রয়োগ বাড়ানোর রোডম্যাপ করা হচ্ছে। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের দৈনন্দিন কাজ সহজ করে দেবে।
সোমবার (১৩ মে) ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৬১তম কনভেনশনের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশে কানেক্টিভিটি তৈরি হয়েছে, যা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের ভিত্তি। সময়োচিত সিদ্ধান্ত দ্রুত গ্রহণ করে দেশকে দ্রুততার সঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে হবে। যে সব দেশ এক্ষেত্রে এগিয়ে আছে, তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে। পড়াশোনা ও শিক্ষার মধ্যে থেকে উদ্ভাবন বাড়াতে হবে। উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অবকাঠামোগত, স্বাস্থ্যগত, শিক্ষাসহ অন্যান্য বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মোকাবিলার কৌশলই বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ পরিণত করবে।
বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়াররা যত দ্রুত প্রযুক্তিকে মানুষের কল্যাণের একটি শক্তি হিসেবে কাজে লাগাতে পারবেন, দেশ তত দ্রুত উন্নত দেশে পরিণত হবে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের নেপথ্যে কাজ করবে প্রযুক্তি।
কর্মক্ষত্রের সর্বস্তরে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্বশীল অবদান রাখা বাঞ্ছনীয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমাগত বাড়ছে এবং আরো বাড়ানো হচ্ছে। স্মার্ট মিটারের সাহায্যে গ্রাহকের চাহিদা অনুসারে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোড বিতরণ ও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্ক্যাডারের মাধ্যমে কোথায়, কেন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে, জানা যাবে। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলেও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নির্মাণে দৃঢ় সংকল্পে জনগণের প্রতি আনুগত্য রেখে কাজ করা দরকার।
কনভেনশনে মোট ১০টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মুনাজ আহমেদ নুর।
ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি)-এর প্রেসিডেন্ট ও সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু।