বিদেশি ঋণে নেয়া প্রকল্পগুলো বাড়তি শ্রম দিয়ে দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ ধরনের প্রকল্পের কাজের গতি ত্বরান্বিত করতে প্রতি তিন মাস অন্তর অগ্রগতির প্রতিবেদন পাঠানোরও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
আগামী অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে আয়োজন করা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় আজ এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনগুলো তুলে ধরেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার।
তিনি জানান, এনইসি সভায় আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা ও বিদেশি সহায়তা হিসেবে ১ লাখ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।
ব্রিফিংয়ে সচিব বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর নমনীয় শর্তে বিদেশি ঋণের সুবিধা কমে যাবে।
এর আগে বিদেশি সহায়তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব।
তিনি এ সময় আরও বলেন, সক্ষমতার ঘাটতির কারণে এডিপতে বরাদ্দ বিদেশি ঋণের মাত্র ৭০ শতাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে। এই হার বাড়াতে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সচিব আরও বলেন, প্রকল্পের আওতায় কর্মকর্তাদের নেয়া প্রশিক্ষণের সর্বোচ্চ ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, কোন কর্মকর্তা বিদেশে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে আসার পর তাকে সংশ্লিষ্ট খাতেই নিযুক্ত করতে হবে।
থানা ভিত্তিক ছোট উন্নয়ন প্রকল্প না নিয়ে মহাপরিকল্পনার আওতায় জেলাভিত্তিক বড় প্রকল্প নেয়ার বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আবদুস সালাম।
তিনি বলেন, উপজেলাভিত্তিক ছোট প্রকল্প নেয়া হলে মনিটরিং ও মূল্যায়ন কঠিন হয়ে পরে।
প্রকল্প নেয়ার আগে মানসম্মত ফিজিবিলিটি স্টাডি নিশ্চিত করতে সভায় তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সভায় ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনা করে এমন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে।