রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্যবিমোচন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের পাশাপাশি অল্প পুঁজিতে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
১৯ মে অনুষ্ঠিতব্য ‘জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা-২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ সব কথা বলেন।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) কর্তৃক একাদশ ‘জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২৪’ আয়োজনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তা, প্রতিষ্ঠানসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্যবিমোচন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের পাশাপাশি অল্প পুঁজিতে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ খাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে সরকার এসএমই খাতের বিকাশ ও টেকসই শিল্পায়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যে এসএমই নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করেছে।
জাতীয় শিল্পনীতিতে এসএমই শিল্পকে শিল্পায়নের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিকশিত করতে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে জোর দেওয়া হয়েছে। রূপকল্প ২০২১-এর সফল বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। জাতীয় শিল্পনীতি ও এসএমই নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান বিদ্যমান ২৫ শতাংশ থেকে ৩২ শতাংশে উন্নীতকরণে সবাইকে আন্তরিক প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমি আশা করি, জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা-২০২৪ উদ্যোক্তাদের পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন, উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ এবং এসএমই পণ্যের রফতানি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্যে এসএমই খাতের যথাযথ বিকাশ নিশ্চিতে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।