জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে দেশের পর্যটন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে চাপাইনবাবগঞ্জ, নোয়াখালী ও পঞ্চগড়ে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তাবনা রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শিরোনামে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
প্রস্তাবিত বাজেটে তিনি বলেন, পর্যটনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যে আমরা পঁচিশ বছর মেয়াদী পর্যটন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। মহাপরিকল্পনাটি বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার একটি বিস্তৃত রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করবে। এটি বাস্তবায়িত হলে ২০৪১ সাল নাগাদ জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটন খাতের অবদান হবে ৪৭৭ কোটি মার্কিন ডলার।
অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবনায় জানান, দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মহানন্দায় শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপের পর্যটন কেন্দ্র নির্মান শীর্ষক প্রকল্প ও পঞ্চগড়ে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি এবং দেশি-বিদেশি জনগণের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ভিত্তিতে দেশে ইকো-ট্যুরিজম, হেরিটেজ ট্যুরিজম এবং বিজনেস ও মাইস (MICE) ট্যুরিজম বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এ সব ট্যুরিজম উন্নয়নের জন্য আমরা টাঙ্গুয়ার হাওড়, নিঝুম দ্বীপ, সুন্দরবনের শরণখোলায় ও পাহাড়পুরের সোমপুর মহাবিহারে পর্যটক সুবিধা এবং পদ্মা ব্রিজের মাওয়া প্রান্তে ট্যুরিজম কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে এ সকল এলাকায় পর্যটক আকর্ষণে ডেস্টিনেশন ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিএমও) গঠন করা হচ্ছে।
টেকসই ট্যুরিজম শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে ট্যুরিজমের সাথে জড়িত সকল ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের নিবন্ধনের পাশাপাশি উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করতে চট্টগ্রামের পারকি, নোয়াখালীর হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মহানন্দায় পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া আমাদের রংপুর, চাঁদপুর ও কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন সুবিধাদি গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।