নতুন অর্থবছরের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে কোম্পানির ব্যাংক লেনদেনে নতুন বিধিনিষেদ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। নতুন নিয়মে কোম্পানি মধ্যে যারা পাবলিকলি ট্রেডেড নয় এইসব কোম্পানির ক্ষেত্রে সকল প্রকার আয় ও প্রাপ্তি এবং প্রত্যেক একক লেনদেনে ৫ লাখ টাকার অধিক ও বার্ষিক সর্বমোট ৩৬ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে সকল প্রকার ব্যয় ও বিনিয়োগ ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শিরোনামে শীর্ষক বাজেট বক্তৃতা তিনি এই তথ্য জানান। বাজেট অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমানে কোম্পানি করদাতার জন্য খাতভিত্তিক অনেকগুলো করহার কার্যকর রয়েছে। আয়কর আইনে সংজ্ঞায়িত কোম্পানিসমূহের মধ্যে যারা পাবলিকলি ট্রেডেড নয় এইসব কোম্পানির ক্ষেত্রে করহার শর্তসাপেক্ষে ২৭.৫% থেকে ২৫% করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এইক্ষেত্রে সকল প্রকার আয় ও প্রাপ্তি এবং প্রত্যেক একক লেনদেনে ৫ লাখ টাকার অধিক ও বার্ষিক সর্বমোট ৩৬ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে সকল প্রকার ব্যয় ও বিনিয়োগ ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, অর্থনীতিতে এক ব্যক্তি কোম্পানির প্রতিষ্ঠা উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নন-লিস্টেড কোম্পানিসমূহের মতই শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে আমরা এক ব্যক্তি কোম্পানির করহার ২২.৫% থেকে ২০% করার প্রস্তাব করছি। পরিশোধিত মূলধনের নির্দিষ্ট পরিমাণের অধিক শেয়ার IPO (Initial Public Offering) এর মাধ্যমে হস্তান্তর হলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য করহার শর্তসাপেক্ষে ২২.৫% থেকে ২০% করার প্রস্তাব করছি। কর-জিডিপি হার বৃদ্ধির প্রচেষ্টা হিসেবে সার্বিক বিবেচনায় সমবায় সমিতির জন্য করহার ১৫% থেকে ২০% এ বৃদ্ধি করে অন্যান্য করহার এর বিদ্যমান কাঠামোটি বহাল রাখার প্রস্তাব করছি।