জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হচ্ছে আজ রোববার (৩০ জুন)। ১ জুলাই থেকে এ বাজেট কার্যকর হবে।
‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ স্লোগান নিয়ে এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে, ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।
দেশের ৫৩তম এই বাজেটের আকার বাড়ছে, ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এটি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।
এবারের বাজেটে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগে কর অব্যাহতির সুবিধা বহাল থাকছে। একই সঙ্গে ব্যক্তি শ্রেণির সর্বোচ্চ আয়কর ৩০ শতাংশের বদলে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর বাইরে, বড় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
এবারের সামগ্রিক বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে, দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক উৎস থেকে ৯০ হাজার ৭শ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ৯শ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫শ কোটি টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের। ব্যাংকিং খাত ছাড়াও নন-ব্যাংকিং খাত থেকে ২৩ হাজার ৪শ কোটি টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪শ কোটি টাকা।
এদিকে, শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে অর্থ বিল উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ‘হ্যাঁ’, ভোটের মাধ্যমে বিল পাস হয়। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড শিরীন শারমীন চৌধুরী।
নতুন অর্থবছরের ২০২৪-২৫ বাজেট প্রস্তাবের ওপর ১১ দিন সাধারণ আলোচনা শেষে শনিবার এই বিল পাস হয়। ফলে, নতুন অর্থবছরে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত টাকা সাদা করার সুযোগ রেখে অর্থবিল সংসদে পাস হয়।
৬ জুন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।